জামালপুর প্রতিনিধি::

জামালপুর ও শেরপুর জেলার তথা চরপক্ষীমারী ও নাওভাঙ্গা মৌজায় আওয়ামী দোসর ও সুবিধাবাদী কয়েকজন ভূমিদস্যুর কবল থেকে নিরীহ ও হতদরিদ্র ৩৫টি পরিবারের ভূমি মুক্তিদানের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।।

 

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পৌর শহরের ফৌজদারি মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শেষে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর ভুক্তভোগীরা স্মারকলিপি প্রদান করে।

 

মানববন্ধনে ভূক্তভোগী পরিবারগুলি বলেন, জামালপুর ও শেরপুর জেলা তথা চরপক্ষীমারী ও নাওভাঙ্গা মৌজার সীমানা নির্ধারণ কল্পে দুই জেলার নদী ভাংগনের কারনে সীমানা চিহ্নিত না থাকায় ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উভয় জেলার বসবাসকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ফলে শেরপুর জেলার ৩ জন এবং জামালপুর জেলার ২ জনসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে সীমানা নির্ধারণের জন্য নাওভাঙ্গা ও চরপক্ষীমারী দুই চরের মাঝখানে সামিয়ানা টানিয়ে দুই জেলা প্রশাসন সীমানা নির্ধারন করার জন্য সিদ্ধান্তে উপনিত হন এবং উভয় পক্ষের লোকদের সীমানা নির্ধারণ পর্যন্ত শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানায়। এবছর জুন মাসের দিকে দুই জেলার সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়।

 

কিন্তু জামালপুরের পৌর শহরস্থ পাথালিয়া উত্তর গুয়াবাড়ীয়া এলাকার আওয়ামী দোসর সুবিধাবাদী আকতার হোসেনগং এর নেতৃত্বে আমাদের শেরপুর জেলাস্থ চরপক্ষীমারীর মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়। সীমানা নির্ধারনের সময় আকতার হোসেনগং তাহা মানিয়া নেয়।

 

কিন্তু গত ১৩ আগস্ট বুধবার বিকাল অনুমান ৩টায় আকতার হোসেন গংদের নেতৃত্বে সীমানা নির্ধারণ না মানিয়া নাওভাঙ্গা মৌজার জমি জোরপূর্বক বেদখল করার চেষ্টা করে। এমনকি পিলার তোলার জন্য পায়তারা করিতেছে। এতে ৩৫টি অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে কয়েকজন প্রভাবশালী ভূমিদস্যু তাদের নিজ জমিতে যেতে দিতেছে না। যাহা শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা রহিয়াছে।

 

এমতাবস্থায় আমরা ৩৫টি ভূক্তভোগি পরিবার বিষয়টি পর্যালোচনা করে নাওভাঙ্গাবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জামালপুর ডিসি মহোদয়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।