নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহের নেতৃত্বাধীন জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।

 

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির একটি তালিকা সংযুক্ত করা হয়। তালিকায় ১৩৭ জনের নাম রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এদের অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। প্রতিবেদনে কারা কীভাবে পাথর লুট করে এবং পরিবেশ বিনষ্ট করে সে বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।

 

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ৭ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।

 

বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কর বলেন, সাদাপাথর লুটপাটের ব্যাপারে ১০টি মতামত বা সুপারিশ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হবে।

 

 

এরআগে গত ১০ ও ১১ আগস্ট সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকা থেকে পাথর লুটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার অভিযান শুরু করে তারা।

 

আলোচিত এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিতে রাখা হয় কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার ও সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম লিংকনকে।

 

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গত রোববার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও তিন দিন সময় চায় কমিটি। সে আলোকে বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ছিল।

 

 

এদিকে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়েছেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বুধবার বেলা ১২টার দিকে কার্যালয় ছাড়েন তিনি। এরপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. সারোয়ার আলমের দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে।

 

সাদাপাথরে পাথর লুটপাটের সমালোচনার মুখে সোমবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়।