জৈন্তাপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা:: জুলাই বিপ্লব স্মরণে আলোচনা সভা, তিলাওয়াত ও নাশিদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শাহপরাণ রহ. ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ মাজার  গেইটে শুক্রবার, (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় এই আয়োজনে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা হয় অনুষ্ঠানটির।

 

ইসলামী সংস্কৃতির প্রসার, আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং সমাজসেবায় আত্মনিবেদিত এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধভিত্তিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ আয়োজনটি ছিল ব্যতিক্রমী ও স্মরণীয়।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা হিফজুর রহমান। এছাড়া সঙ্গে ছিলেন সাবেক সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদীন ফাগুরবাড়ি, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ইয়াহইয়া এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ আলেমে দ্বীন ও দ্বায়ী মাওলানা সাইফুল ইসলাম জালালাবাদী।

আলোচক হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি রেজাউল কারিম আবরার।

 

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী,  ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, এক্সেল টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা খলিলুর রহমান, হলি আরবান প্রপার্টিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এমদাদ হোসেন চৌধুরী এবং সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মাওলানা ফখরুল ইসলাম।

প্রাণবন্ত বক্তব্যে শাহপরাণ রহ. ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল হাফিজ বলেন, ইসলামী সংস্কৃতি শুধু মঞ্চের বিষয় নয়, বরং প্রতিটি মানুষের জীবনব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত।

পুরো অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ইসলামী সংগীত পরিবেশনায়। মন ছুঁয়ে যাওয়া হামদ, নাত ও দেশাত্মবোধক নাশিদ পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের জনপ্রিয় শিল্পী আহমদ আব্দুল্লাহ, কলরবের শালিন আহমদ ও আবির হাসান।

এছাড়া অংশ নেন কলরব সিলেট, নাশিদ সিরিজ সিলেট এবং যমযম সিলেটের প্রশিক্ষিত শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে  তিলাওয়াত পরিবেশন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্বারী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ও আবৃত্তিকার মাওলানা মীম সুফিয়ান, যিনি সাবলীল ভাষা ও চমৎকার উপস্থাপনায় পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।

এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে শাহপরাণ গেইট এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে মাহফিলটি ছিল আবেগঘন ও অনুপ্রেরণাদায়ী।

শাহপরাণ রহ. ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমাজে ইসলামী সংস্কৃতির প্রসারে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

 

সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় এক হৃদয়গ্রাহী আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে, যেখানে দেশ, জাতি, সমাজ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।

 

এই আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনটি আবারও প্রমাণ করলো যে, তারা শুধু একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন নয়, বরং একটি নৈতিক নেতৃত্বের মশালধারী প্রতিষ্ঠান।