বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেটের বিয়ানীবাজার চারখাই ইউনিয়নের দিঘীরপার এলাকায় অবস্থিত এমআই রাহুল ফুটবল একাডেমি যেন হয়ে উঠছে এলাকার ক্রীড়া-প্রেমী তরুণদের আশার বাতিঘর। শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এমআই রাহুল ফুটবল একাডেমির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের এডমিনিস্ট্রেটর মাহবুব আলম পলো।

তার এই আগমন উপলক্ষে একাডেমি কর্তৃপক্ষ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড়, অভিভাবক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে মাহবুব আলম পলোকে একাডেমির পক্ষ থেকে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাহবুব আলম পলো বলেন, “এমআই রাহুল ফুটবল একাডেমি যেন দেশের ফুটবল উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়, সেই লক্ষ্যে আমি নিজ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। এখানকার খেলোয়ারদের মাঠ সমস্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব।”

প্রধান আকর্ষণ হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ক্রীড়া অফিসার ও সদস্য সচিব মোঃ নূর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার (এডহক কমিটি) সদস্য, ‘গোল্ডেন বয়’ খ্যাত মোঃ সাহাজ উদ্দিন টিপু, সিলেট জেলা দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং ‘সি’ লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোচ সালাহউদ্দিন রাজু, সুগন্ধা ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান এটিম মাসুদ আহমদ, জলডুপ স্পোর্টস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জামাল আহমেদ জামাল এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য ও একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ চৌধুরী।

চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একাডেমির সভাপতি হোসেন মুরাদ চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমআই রাহুল ফুটবল একাডেমির প্রধান পরিচালক সুমন আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী, মাহবুব আলম পলো স্যারের মতো একজন অভিজ্ঞ ফুটবল সংগঠক একাডেমির পাশে থাকলে, এখান থেকে দেশের জন্য মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরি সম্ভব হবে। তবে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাঠের অভাব। আজও আমাদের খেলোয়াড়দের কাদা-পানির মধ্যেই অনুশীলন করতে হয়। আমরা অনুরোধ জানাই যেন এই একাডেমির জন্য একটি নির্ধারিত মাঠ বরাদ্দ করা হয়।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন একাডেমির পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও উপস্থিত অতিথিরা। তারা বলেন, এলাকার তরুণদের মাদক ও অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে একটি ফুটবল একাডেমি যেমন কার্যকর ভূমিকা রাখছে, তেমনি এটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে একাডেমির পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

এই অনুপ্রেরণামূলক পরিদর্শন এবং সম্মাননা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এক আশার আলো জ্বাললো এমআই রাহুল ফুটবল একাডেমি। এখন প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সক্রিয় সহযোগিতা, যাতে এই একাডেমি ভবিষ্যতের ফুটবল তারকা তৈরির একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।