নিজস্ব সংবাদদাতা::

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধন উপলক্ষে একাডেমি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মতবিনিময় সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানের মূল পর্বটি শুরু হয় ১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক দেবজিৎ সিংহ। তিনি ফিতা কেটে ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং পরিদর্শন শেষে একাডেমির ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকন। বক্তব্যকালে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুর ভেতরে কিছু না কিছু সৃজনশীল প্রতিভা থাকে, যা সঠিক প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে যায়। এই একাডেমি সেই প্রতিভাগুলোর বিকাশ ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার উম্মে সালিক রুমাইয়া, সহকারী কমিশনার ভূমি ফারজানা আক্তার লাবনী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) নুরুল ইসলাম, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুণ অর রশিদ, বিয়াম কুদরত উল্লাহ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সুফিয়ান বিলাল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক রেজাউল ইসলাম রাজা, সফল কুমার নন্দী, হুসেন মিয়া ও গায়ত্রী পলি। অনুষ্ঠানজুড়ে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

মতবিনিময় সভা শেষে একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উপস্থাপিত হয় এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নাচ এবং আবৃত্তিতে সাজানো এই পরিবেশনায় শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতার ছাপ স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।

দিনের শেষে একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন প্রধান অতিথি, যা এই প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের প্রতীকী সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে জৈন্তাপুরে সাংস্কৃতিক বিকাশের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।