ভাসানীর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ এবং জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

 

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন সিলেটের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছ। মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আমীন তাহমীদ এর পরিচালনায় সভয় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ভাষাসৈনিক মো. মাসউদ খান।

 

সভায় বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন মহানায়ক। তিনি ছিলেন একটি যুগের প্রতীক, একটি আন্দোলনের নাম, এক অনমনীয় প্রতিবাদের ইতিহাস। ভাসানী কাগমারী সম্মেলনে পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ‘ওয়ালাকুমুসসালাম’ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। ভাসানীর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ এবং জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বক্তারা বর্তমান প্রজন্মের কাছে মাওলানা ভাসানীর জীবনী ও আদর্শ তুলে ধরার এবং পাঠ্যপুস্তকে ভাসানীর সংগ্রামী জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

 

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আলী আহমদ, এডভোকেট মো.গিয়াস উদ্দিন ও শওকত ওসমান জুবায়ের। আরো বক্তব্য রাখেন- আলি আশরাফ চৌধুরী খালেদ, মহিউদ্দিন আহমদ, নেছারুল হক চৌধুরী বোস্তাম, জমির আহমদ, মকসুদ হোসেন, মো. সাদেক মিয়া, এ এস এম নুরুল হুদা সালেহ, আজাদ আহমদ, মুখলেস আহমদ, আজিজুর রহমান, সৈয়দ কাউসার আহমদ, বোরহান আহমদ, মিনহাজ আহমদ, সঞ্জয় কান্তি দাস, কামাল আহমদ, জুবায়ের আহমদ ও নিগাত সাদিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন- এম এ নাসির সূজ, কয়েস আহমদ সাগর, নিতু কান্ত দাস, বুরহান আহমদ, হুমায়ুন কবির শোয়েব, নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির শামীম, সোহেল আহমদ, তাজ রিহান জামান, সমিক জাহান, আবু সালেহ ইয়াহহিয়া, মামুন আহমদ, বিপ্লব পাল, তারেক চৌধুরী, সৈয়দ রেজাউল হক, সাবের আহমদ, সিরাজ আহমদ, মাহবুব আহমদ চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুস, কাউসার গাজী, বুশরা, হালিমা, জোনাকি, রোদেলা প্রমুখ।