অনলাইন ডেস্ক :

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

আজ (১৭ নভেম্বর) সোমবার দিবসটি উপলক্ষে সন্তোষ এবং সারাদেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই মহামানবকে স্মরণ করা হচ্ছে। ভাসানী ফাউন্ডেশন ও খোদা-ই-খেদমতগারের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে। মেলায় দেশজ পণ্যের স্টল, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন রয়েছে।

তার পরিবার, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি), রাজনৈতিক–সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং হাজারো ভক্ত আজ মাজারে ফাতেহা পাঠ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন। বিএনপির উদ্যোগে ‘মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি’ দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯১৭ সালে। ১৯২৩ সালে স্বরাজ্য পার্টি গঠনে ভূমিকা, ১৯২৬ সালে কৃষক-প্রজা আন্দোলন, এবং ১৯২৯ সালে ধুবড়ীর ভাসান চরে কৃষক সম্মেলন—তার নেতৃত্বকে জনমানসে গভীরভাবে স্থাপন করে। এখান থেকেই ‘ভাসানী’ উপাধির জন্ম।

 

দীর্ঘদিন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা এবং ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার ‘খামোশ’ উচ্চারণ—রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বঞ্চিত মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে আজীবন আপসহীন থাকার কারণেই তিনি ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিতি পান