অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তিনি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন’। তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারিক সাঈফ মামুনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে ওই ব্যক্তিকে গুলি করেছে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) আহসান উদ্দিন সামি বলেন, ‘নিহত মামুন একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। যারা গুলি চালিয়েছে আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
নিহতের পূর্ব পরিচিত ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে মামুনের ফোন থেকে তাকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি কাকরাইল থেকে ঢাকা মেডিকেলে এসে মামুনের পরিচয় শনাক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতের নাম তারিক সাইফ মামুন (৫৫)। ব্যবসায়ী তিনি। এর আগে গাজীপুরে আমাদের পরিচয় হয়েছিল।’
নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এসএম ইকবাল। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লেগেছিল মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান।
ঘটনার পর তখন পুলিশ বলেছিল, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। ওই গুলি লেগেছিল ভুবনের মাথায়। কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্ত হন।
শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈফ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।