আব্দুল হাদী ওসমানীনগর থেকে সিলেট::
কারেন্ট জাল , পলিথিন , ভারতীয় নাছির উদ্দীন ( পাতার বিড়ি) এসব নিষিদ্ধ হলেও এসবের ব্যবহার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারেন্ট জালের কারনে দেশী প্রজাতীর মাছ বিলুপ্তির পথে। পলিথিন ব্যবহারে হচ্ছে পরিবেশ দূষন। পাতার বিড়ি টানতে টানতে কত জনের হয়েছে যক্ষা রোগ।এসব নিয়ে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে ধরপাকড় অনুষ্টিত হয়। এটাকে আবার লোক দেখানো বলেই মনে করেন অনেকে। কেননা এসবের বিরুদ্ধে হঠাৎ এ্যাকশন নিয়ে আবার থেমে গেলে চলবেনা। এগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত করতে হবে।
জানাযায় ,পলিথিন নিষিদ্ধের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২-এ রয়েছে , যা পলিথিন উৎপাদন, আমদানি, বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এই আইনে প্রথম অপরাধে ২ বছর কারাদন্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত এবং পলিথিন ব্যবহারকারীর জন্য তাৎক্ষণিক ৫০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। “কারেন্ট জাল” বা “রেশমি জাল” (প্লাস্টিক/পলিথিন থেকে তৈরি) নিষিদ্ধ করার সুনির্দিষ্ট আইন সম্পর্কে সরাসরি তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইনের আওতায় পড়বে।
সিলেটের প্রতিটি হাটবাজারে বিক্রি হয় কারেন্ট জাল। তবে সাবধানতা অবলম্বন করা হয় অনেক। যারা বিক্রি করে তারা যার তার কাছে বিক্রি করেনা। বিশেষ করে পরিচিত মানুষদের কাছে বিক্রি করে নতুবা যার কাছে বিক্রি করে তাকে ভালো করে জেনে শুনেই বিক্রি করে। আইনি জটিলতা থাকলেও এসবের তোয়াক্কা না করে যেভাবে বিক্রি হয় কারেন্ট জাল টিক সেভাবে মানুষও মাছ নিধন করছে কারেন্ট জাল দিয়ে। এসব জাল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা মাছের পোনা। পরিবেশ বান্ধব সাপগুলোকেও রেহাই দেওয়া হচ্ছেনা কারেন্ট জাল থেকে।
আইনি নিষেধজ্ঞা থাকলেও আমরা পলিথিন ছাড়া চলতেই পারিনা। এগুলো নিয়মিত ফেরি করে বাজারে বাজারে বিক্রি করা হয় । এসবছাড়া দোকান থেকে কেনা সদাই আনা যায়না। এছাড়াও বাজারের প্রতিটা ব্যবসা প্রতিষ্টানেই মাল বেচাকেনার জন্য ব্যবহৃত হয় পলিথিন। আইনের কড়াকড়ি থাকার পরও অহরহ তা বিক্রি এবং ব্যবহার হয় কিভাবে এরকম প্রশ্ন রয়েছে জনমনে। মাঝেমধ্যে সরকারি ভাবে পলিথিন ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও কার্যত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় যত দিন যাচ্ছে পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলছে।
পাতার বিড়িতে আসক্ত শতকরা পঞ্চাশভাগ ধূমপায়ী। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেকের কাছ থেকে জানা যায় এসব বিড়ি দেশে তৈরি হয়না ,এগুলো আনা হয় ইন্ডিয়া থেকে। এখানে প্রশ্ন থেকে যায় এতো এতো বর্ডার গার্ড থাকতে এবং দেশে আইনের শাসন জোরদার থাকার পরও এগুলো দেশে আসে কিভাবে ? দেশে এনে প্রশাসনের নাকের ডগায় বেচা কেনা হয় পাতারবিড়ি। ধুমপান হৃৎপিন্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। এছাড়াও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ও ক্যান্সার এর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। সিগারেটের চাইতে বেশি ঝুঁকি থাকে পাতার বিড়িতে।
এই তিনটি বিষয়ের উপর যদি আইনের যথাযোগ্য গুরুত্ব দেওয়া হতো তাহলে উপকৃত হতো পুরো দেশ, বেচে যেতো অনেক মানুষের জীবন। দেশ এবং জাতী যাদের মাধ্যেমে পরিচালিত হচ্ছে, তারা উদাসীনতা না করে এসব বিষয়ে এগিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করেন সর্বস্তরের মানুষ। তবেই এসব আমদানি রপ্তানি থেকে মুক্ত থাকবে দেশের মানুষ।