ও আমার জন্মভূমি, প্রিয় বাংলাদেশ,

তুমি শুধু মানচিত্রে আঁকা এক টুকরো ভূমি নও—

তুমি আমার হৃদয়ের অনন্ত ছায়া,

তুমি আমার শিকড়, আমার শ্বাসের সুর।

 

তোমার আকাশে ভেসে থাকা সাদা মেঘে

আমি দেখি আমার শৈশবের হাসি,

তোমার নদীর জলে শুনি মায়ের ডাকে ভেজা আদর।

তোমার মাটির গন্ধে জেগে ওঠে

আমার অস্তিত্বের প্রতিটি রক্তকণা।

 

তুমি যখন সকালের শিশিরে জেগে ওঠো,

তোমার ধানের শীষে ঝলমল করে সোনার স্বপ্ন,

আর সন্ধ্যার আকাশে সূর্য যখন ডুবে যায়,

মনে হয়—তুমি এক শান্তিময় লাল শাড়িতে মোড়া মা।

 

তোমার সবুজ বনানী আমার বুকের শান্তি,

তোমার কোকিলের ডাক আমার প্রার্থনা,

তোমার নীল নদী আমার কবিতার কালি,

আর তোমার পতাকা—আমার জীবনের অহংকার।

 

আমি তোমাকে ভালোবাসি,

যেমন নবজাতক ভালোবাসে মায়ের বুকে উষ্ণতা,

যেমন নদী ভালোবাসে সাগরের আহ্বান।

তোমার প্রতিটি ইট, প্রতিটি ঘাস, প্রতিটি হাসিমুখ—

আমার আত্মার ভেতর বয়ে চলে নিরন্তর সঙ্গীত হয়ে।

 

তুমি দুঃখে কাঁদলে আমি ভিজি,

তুমি হাসলে আমি আলোয় ভরে উঠি।

তোমার শহর, গ্রাম, মাটি—সব আমার নিজের মতোই প্রিয়।

 

প্রিয় বাংলাদেশ,

আমি তোমার সন্তান হয়ে গর্বিত,

তোমার জন্য বাঁচব, তোমার জন্য লিখব,

আর তোমার বুকেই একদিন শান্তি খুঁজে নেব।

 

 

— তোমারই সন্তান,

তোমায় ভালোবেসে হার মানা এক কবি।