প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউনেস্কোর ৪৩তম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা, উজবেকিস্তানের সামারখন্দে ৩০ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলনে রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত সিমোনা মিরেলা মিকুলেস্কুর স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
স্বাধীনতা উত্তর ৫৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি নির্বাচিত হওয়াকে বাংলাদেশের ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে অভিহিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস। এটিকে মাইলফলক এবং বড় সাফল্য বলছেন সংশ্লিষ্টরাও।
২০২১ সালে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পান খন্দকার এম তালহা। এর পাশাপাশি ফ্রান্স, মোনাকো ও কোতদিভোয়ারের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বেও আছেন তিনি।
৭ অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের ২২২তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রার্থী রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা জাপানের প্রার্থীকে ৩০-২৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে চারটি দেশ বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। পরে সেপ্টেম্বর মাসে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।
এবারের ইউনেস্কো সম্মেলনে সাধারণ নীতি বিতর্কে সাধারণ সম্মেলনের কার্যপ্রণালী বিধির বিধি ৬৮ অনুসারে উপস্থিত বক্তাদের জাতীয় নীতি বিবৃতি ছয় মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষাকে রক্ষায় রাজপথে আন্দোলন হয় এবং পাকিস্তানি সরকার বাহিনীর গুলিতে সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকে শহীদ দেন।
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে বুকের তরতাজা রক্তে ঢেলে দেয়ার এমন বিরল দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। এজন্য ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছিল।