মানবতা এমন এক মূল্যবোধ, যা জাতি, ধর্ম, দেশ ও অবস্থান নির্বিশেষে মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে শেখায়। সিলেটের জৈন্তাপুরের এক মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত আলমাস উদ্দিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রবাসী সমাজসেবক রোটারিয়ান আব্দুল গাফফার চৌধুরী (খসরু) সেই মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ প্রমাণ করে, দূর প্রবাসে থেকেও একজন মানুষ তার জন্মভূমির মানুষের দুঃখে কাঁদতে পারেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন এক সহমর্মী বন্ধুর মতো।

 

 

খসরু সাহেব শুধু অর্থ সহায়তাই করেননি, বরং প্রবাসী সমাজে দায়িত্ববোধ ও সামাজিক সচেতনতার যে বার্তা দিয়েছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মানবিক উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃত সমাজসেবক সে-ই, যে মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে জানে। তাঁর দান ছোট হলেও এর মানবিক মূল্য অগাধ। এতে যেমন নিহত পরিবারের মুখে সামান্য স্বস্তি ফিরে এসেছে, তেমনি সমাজে জেগে উঠেছে সহমর্মিতার আলো।

 

 

আজকের প্রতিযোগিতামূলক ও স্বার্থান্ধ সমাজে এমন উদাহরণ বিরল। কিন্তু রোটারিয়ান আব্দুল গাফফার চৌধুরী (খসরু) দেখিয়ে দিয়েছেন- সত্যিকারের উন্নতি মানে কেবল অর্থ উপার্জন নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা ও মানবতার বীজ বপন করা। প্রবাসে থেকেও তাঁর এই মানবিক অবদান প্রমাণ করেছে, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম কেবল ভূগোলের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়।

 

অতএব বলা যায়, রোটারিয়ান আব্দুল গাফফার চৌধুরী (খসরু)’র এই মহতী উদ্যোগ কেবল একটি পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়নি, বরং আমাদের সমাজে মানবতার প্রদীপ জ্বালিয়েছে। তাঁর মতো মানুষদের কারণেই আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারি- মানুষের জন্য মানুষই সবচেয়ে বড় আশ্রয়, আর মানবতা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পরিচয়।