স্টাফ রিপোর্টার::সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তবর্তী জাফলং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে। সীমান্ত এলাকায় মানবপাচার, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ বালু উত্তোলনের মতো অপরাধ দমনে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় এসেছেন জাফলং (নলজুরি) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মারুফ আহমদ ও গোয়াইনঘাট থানার নবনিযুক্ত ওসি তরিকুল ইসলাম।
তাদের সমন্বিত নেতৃত্ব ও কৌশলগত পদক্ষেপে সীমান্ত এলাকায় এখন বিরাজ করছে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা। স্থানীয়দের ভাষায়—“আগে যেখানে প্রতিদিন ভয় নিয়ে চলাফেরা করতাম, এখন সেখানে শান্তিতে জীবনযাপন করছি।
দীর্ঘদিন ধরে নলজুরি সীমান্ত দিয়ে ভারতগামী মানবপাচারকারীরা সক্রিয় ছিল। টাকার প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দরিদ্র মানুষদের পাচার করত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কিন্তু এসআই মারুফের দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ধারাবাহিক অভিযানে ৬–৭ জন মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে চক্রটির সক্রিয় সদস্যরা পলাতক।
নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের ফলে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত নদীপথে চোরাচালান ও অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে দিন-রাত টহল দিচ্ছে পুলিশ।
এসআই মারুফের নেতৃত্বে ফাঁড়ির সদস্যরা প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নদী, চা-বাগান ও সীমান্ত ঘেঁষা জনপদে অভিযান পরিচালনা করছেন। ওসি তরিকুল ইসলামের সাহসী দিকনির্দেশনায় এসব অভিযান আরও সংগঠিত ও কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ বলছেন, পুলিশ এখন সত্যিকার অর্থেই জনগণের নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে উঠেছে। অপরাধীদের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখায় পুলিশ-জনসম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকেও এই উদ্যোগকে ‘উদাহরণযোগ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, জাফলং সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য সীমান্ত এলাকাগুলোর জন্যও একটি মডেল হতে পারে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাদারিত্ব, সততা ও দৃঢ় মনোবল দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এসআই মারুফ আহমদ ও ওসি তরিকুল ইসলাম। তাদের নেতৃত্বে জাফলং এখন শুধু পর্যটন নয়, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবেও পরিচিত হচ্ছে।