
টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ সফল করতে বুধবার (৮ অক্টোবর) সিলেটে স্বাস্থ্য ভবনস্থ সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে জেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মো. আনিসুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় পরিচালক বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল গোষ্ঠীকে এর আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, টিকাদানের স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে তিনি যথাসময়ে রেজিস্ট্রেশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এ ক্যাম্পেইনকে সফল করার মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্ম উপহার দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ স্বপ্নীল সৌরভ রায়। টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি টাইফয়েড টিকাদানের রেজিস্ট্রেশন ও টিকাদান সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রাইমারী হেলথ কেয়ার) আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার, উপপরিচালক (হাসপাতাল) সৈয়দ আবু আহমেদ শাফি, উপপরিচালক (ইপিআই) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো. জাহিদুল ইসলাম। সভায় সিলেটের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর আওতায় সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে প্রায় ৩০ লক্ষ ও সিলেট জেলায় ১০ লক্ষ ১৬ হাজার টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর থেকে স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। টিকাদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।। এখন পর্যন্ত সারাদেশের মধ্যে সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।