সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুট ও ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু লুটের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওদুদ আলফু ওরফে আলফু চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানা সদর অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলফু চেয়ারম্যান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আলফু চেয়ারম্যানকে নিয়ে আমরা আরো অভিযান পরিচালনা করছি।’
ওসি বলেন, ‘অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
গত ২০ জুলাইয়ের পর থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্রুতগতিতে নিঃশেষ হয় সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাথর। পরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাদাপাথরের অদূরে অবস্থিত ধলাই সেতু সংলগ্ন ‘ধলাই নদী দক্ষিণ বালু মহাল’ বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন।
নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের ২১ জুলাই ইজারা চুক্তি সম্পাদন হয়। বার্ষিক ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ টাকায় ধলাই নদীর ২১৭ দশমিক ৭০ একর ইজারা নেন মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ। এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে এর পেছনে প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি যুক্ত থাকার তথ্য মিলে।
যার একজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু। অভিযোগ রয়েছে—আলফু গং ‘ধলাই নদী দক্ষিণ বালু মহাল’ থেকে বালু উত্তোলনের নাম করে ইজারা অংশের বাইরে থেকেও বেপরোয়া বালু উত্তোলন করতে থাকেন। পাশাপাশি এই অংশের নদীপথ ব্যবহার করে পাথর লুটপাটে জড়িয়ে দ্রুত পাথর নিঃশেষ করেন।