
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. হিফজুর রহমান (৩৫) আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও কিডনিসহ নানা জটিল রোগে ভোগার পর অবশেষে বুধবার (১ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুর আগে তিনি ১৭ দিন সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখান থেকে ওইদিনই তাকে বাড়িতে আনা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বর্ণি বড় মসজিদ ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো মুসল্লী, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন। জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা হিফজুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি ও অবদানের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হন।
জানাজায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, হিফজুর ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করেছেন। তার একনিষ্ঠতা ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পান।
মরহুমের চাচা মাওলানা ইয়াকুব আলীর ইমামতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে গ্রামের পঞ্চায়েতী গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোকবার্তায় হিফজুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৪ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, বদরুজ্জামান সেলিম, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল, বিএনপি নেতা আকবর হোসেন, আ. আজিজ, যুবদল নেতা এমদাদুল হক স্বপন, বাহার আহমেদ রুহেল, শওকত আলী বাবুল, আলী আকবর, আজমান আলীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হিফজুর রহমান মৃত্যুকালে স্ত্রী, মা, তিন ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। মরহুমের চিকিৎসায় আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য জানাজা পূর্বে পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।