
ধর্মপাশা প্রতিনিধি:: প্রেম গঠিত বিষয়কে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামে ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওইদিন রাতেই ১৭জনের নাম উল্লেখ করে ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হবিকুল আকন্দ (৫০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চকিয়াচাপুর গ্রামের আইজল মিয়ার ছেলে অটোরিক্সা চালক মোবারক হোসেনের সাথে একই গ্রামের স্কুল পড়ুয়া এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, একপর্যায়ে গেল ১৯ জুন রাতে তারা পালিয়ে যায়।
পরে ২৩ জুন মোবারক হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে
অপহরণের অভিযোগ এনে ধর্মপাশা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তরুণীর বাবা।
মামলা দায়েরের ২মাস পর গত সোমবার (২৫ আগস্ট) উপজেলা সদরের বিজয় চত্বর থেকে তারা দুজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত মোবারক হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ ও তরুণীকে পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশনা দেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার শেষে গতকাল বুধবার (২৭ আগস্ট) তরুণীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে মেয়েটিকে তার পরিবারের জিম্মায় দেন আদালত।
আদালত থেকে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় মোবারক হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরা মেয়ের বাবাকে মারধর ও মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে এমন খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে তরুণীর আত্মীয়-স্বজনরা প্রেমিক মোবারক হোসেনসহ তার স্বজনদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় জাহানারা (৭০) ও আনোয়ার হোসেন (৫০) আহত হয়। তবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওই তরুণীর পরিবার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ও ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক। এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে এনামুল হক।
আদালত চত্বরে মোবারক হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরা মেয়ের বাবাকে মারধর ও মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এনে বুধবার বিকেলে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তরুণীর বাবা।