জৈন্তাপুর (সিলেট) সংবাদদাতা :
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তা, অপরাধ দমন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সভায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা। সভার শুরুতে গত মাসের কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ, মহাসড়কে যানজট নিরসন এবং কিশোরদের মধ্যে অনলাইন মোবাইল জুয়া খেলা রোধে কার্যকর উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সভায় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, গত এক মাসে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিনটি ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলায় ১২ জন এবং চুরির ঘটনায় আরও ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এন ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম রিয়াজ মাহমুদ, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকন, উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদ হাসান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন, শ্রীপুর ও জৈন্তাপুর বিওপির ক্যাম্প কমান্ডারগণ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ঝিনুক এবং আনসার কর্মকর্তা হেপী রানী সরকারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে জৈন্তাপুর উপজেলাকে নিরাপদ ও উন্নয়নমুখী এলাকায় রূপ দেওয়া সম্ভব।
মাদক, চোরাচালান ও অপরাধমুক্ত জৈন্তাপুর গঠনে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিককে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে-এমন প্রত্যয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।