
জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ::
দেশের সীমান্ত রক্ষায় অবিচল ও সৎ দায়িত্ব পালন করে আবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর সদস্যরা শনিবার রাতে জাফলং সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিচালিত চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় চারটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যেগুলো .১৭৭ এয়ার গান।

রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের আখালিয়াস্থ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সাফল্যের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সেখানে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে ৪৮ বিজিবি দিন-রাত নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হয় এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়।
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি পেশাদার বাহিনী। দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। চোরাচালান, মাদক কিংবা অবৈধ অস্ত্র-কোনো কিছুই সীমান্তে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। জনগণের সহযোগিতায় আমরা সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করব।
তিনি আরও বলেন, বিজিবির প্রতিটি সদস্য দেশ ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তাদের এই অটুট নিষ্ঠার কারণেই সীমান্ত আজ নিরাপদ এবং চোরাচালান প্রতিরোধে প্রতিদিন নতুন নতুন সাফল্যের ইতিহাস সৃষ্টি হচ্ছে।
সিলেটের জাফলং সীমান্ত বাংলাদেশের অন্যতম সংবেদনশীল এলাকা। এই সীমান্তপথে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু চক্র অবৈধ পণ্য, অস্ত্র ও মাদক প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে আসছে। তবে ৪৮ বিজিবির সজাগ টহল ও কৌশলী অভিযানের ফলে এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম ব্যর্থ হচ্ছে। জাফলং শুধু পর্যটন কেন্দ্র নয়, বরং দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। এখানে বিজিবির সক্রিয় উপস্থিতি সীমান্তের নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিজিবির এ ধরনের উদ্যোগে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমনে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে আছেন এবং তারা মনে করেন, বিজিবির কঠোর অবস্থান না থাকলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হতো না।
সীমান্ত সুরক্ষায় এ অভিযান বিজিবির প্রতি জনআস্থাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, বিজিবির এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু সীমান্ত নয়, পুরো দেশের জন্যই নিরাপত্তার বর্ম হিসেবে কাজ করছে।
৪৮ বিজিবির এই সাফল্য প্রমাণ করেছে, দেশের প্রতিটি ইঞ্চি সীমান্ত রক্ষায় তারা যেমন সতর্ক, তেমনি জনগণের নিরাপত্তায়ও আন্তরিক। এ কারণে বিজিবি শুধু একটি বাহিনী নয়, বরং জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।