সিলেট ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে দাফনের ১৭ দিন পর ‘জীবিত’ উদ্ধার নিখোঁজ কিশোর!

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিলেটে দাফনের ১৭ দিন পর ‘জীবিত’ উদ্ধার নিখোঁজ কিশোর!

সিলেটের ওসমানীনগরে নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। অথচ এরই মধ্যে একটি অজ্ঞাত মরদেহকে নাঈম বলে শনাক্ত করে দাফনও সম্পন্ন করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার (২৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কিশোর নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়ারচর গ্রামের কণাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাঈম গত ২৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার বুলবুল ফকিরের রেস্টুরেন্টে কাজ করত।

 

পরিবার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেটিকে নাঈম বলে শনাক্ত করে গ্রহণ করে তার পরিবার এবং ৫ আগস্ট দাফন সম্পন্ন করে।

 

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল ফকিরকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

 

দাফনের ১৭ দিন পর যখন নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করা হলো, তখন পুরো ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে – তাহলে কুলাউড়ায় পাওয়া সেই অজ্ঞাত মরদেহ কার ছিল?

 

এছাড়া ভুল শনাক্ত করার কারণে একটি নির্দোষ ব্যক্তিকে যদি জেল খাটতে হয়, তবে সেটি একটি গুরুতর বিষয় বলে মনে করছেন অনেকে।

 

কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নাঈমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন