আওয়ামী লীগের দোসর, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের উপর গুলি বর্ষনকারী, গোয়াইনঘাট থানার ৭নং নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমীরুল, নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন ও মোঃ শিপন খাঁন কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত মেসার্স রূপালী ব্রিকস উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মেসার্স রূপালী ব্রিকস এর মালিকপক্ষ।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা দায়রা জজ ও ডিসি অফিসের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মেসার্স রূপালী ব্রিকস লিঃ নওয়াগাঁও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান এর স্ত্রী এ্যাডভোকেট হাসিনা মমতাজ, মুদরেছ আলী, মো. আব্দুল্লাহ, কাওছার আহমদ, মো. পিয়ার উদ্দিন, হানিফ আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে এ্যাডভোকেট হাসিনা মমতাজ বলেন, আমার স্বামী অনেক কষ্টে টাকা সঞ্চয় করে ২০১৯ সালে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানাধীন নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে উক্ত মেসার্স রূপালী ব্রিকস লিঃ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন এর আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান এস. কামরুল আমিরুল হাসাল এর শকুন দৃষ্টি উক্ত ব্রিকস ফিল্ড এ পরে। এই আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান অতি চতুরতার সহিত ২০২৩ ইং সালে আমার স্বামীর মেসার্স রূপালী ব্রিকস লিঃ এর নাম পরিবর্তন করে নওয়াগাঁও ব্রিকস লিঃ নামে একটি পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণ করে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি দরখাস্ত করলে দীর্ঘ শুনানীর পর উক্ত ছাড়পত্রটি বাতিল হয়।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে উক্ত চেয়ারম্যান মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন নং-১০৭৪/২০২৪ দাখিল করি ঐ পরিবেশ অধিদপ্তরের আদেশ স্থগিত করে ব্রিকস লিঃ পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। পরবর্তীতে আমি মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন নং- ১৯০৬/২০২৪ইং দাখিল করিলে মহামান্য হাইকোর্ট সিলেট জেলা ডি.সি মহোদয়কে উক্ত বিরোধীয় বিষয়টি ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নিস্পত্তির আদেশ দেন। উক্ত বিরোধীয় বিষয়টি ৬০ (ষাট) দিনে নিষ্পত্তির আদেশ হওয়া স্বত্বেও ডি.সি মহোদয় কোন ধরণের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি। বর্তমানে আমার স্বামী অসুস্থতার সু-চিকিৎসার প্রয়োজন ।
তিনি বলেন, ২০২৪ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও এই আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক চেয়ারম্যান এর পতন ঘটানো সম্ভব হয়নি। তার একচ্ছত্র অধিপত্ত উক্ত নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে বহাল আছে। তার ভয়ে স্থানীয় লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। এই চেয়ারম্যান ছাত্র খুনী আগষ্টের ঘাতক । ইতিমধ্যে আমি সিলেট জেলার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করি। সি.আর মামলা দায়ের করি আজ ১ বছর ৬ মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও পি.বি.আই. আমার মামলা প্রতিবেদন দিচ্ছে না। আমি আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন আমার কোন উপকারে আসে নাই, তাহলে সাধারণ মানুষ কী হাল? বুঝাই যাচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে আজ রাস্তায় মানববন্ধনে নেমেছি। আমার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। আমি দ্বারে দ্বারে সবার সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়ে মরা ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই। এদিকে কোম্পানীর ঋণের বোঝা সামাজিক অবক্ষয় সব কিছু মিলিয়ে আমার অবস্থা নাজেহাল। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। বিজ্ঞপ্তি