
অনলাইন ডেস্ক : সাদাপাথর লুটপাটের সমালোচনার মুখে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদের পর এবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকেও বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাদাপাথর লুট ঠেকাতে ব্যর্থতা ও উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজাউন নবী সই করা প্রজ্ঞাপনে আজিজুন্নাহারকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়। অপরদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ইউএনও মো. শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে। আজিজুন্নাহার চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। এরপর সাদাপাথর ও ভোলাগঞ্জে ব্যাপক লুটপাট হয়। এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে পাথর লুটে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
সমালোচনার মুখে ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে ইউএনও আজিজুন্নাহারকে সদস্য রাখা হয়। তাকে কমিটিতে রাখায় ওই কমিটি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এদিকে, সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, আনসার সদস্যদের নিয়ে সাদা পাথরে অবস্থান করছেন ইউএনও আজিজুন্নাহার। তার সামনেই নৌকায় করে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে লুটপাটে আজিজুন্নাহারকে কোন বাধা দিতে দেখা যায়নি।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই ভয়াবহ লুটপাটের শিকার হয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এবং এর পাশের ১০ একরের রেলওয়ে বাঙ্কার। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় শুরুর দিকে রাতে লুট হলেও পরবর্তীতে দিনে-রাতে সব সময়ই লুট চলে। ফলে একেবারে পাথর শূন্য হয়ে পড়েছে সাদাপাথর পর্যটন এলাকা। আর খানাখন্দে পরিণত হয় রেলওয়ে বাঙ্কার।
গত বুধবার সাদাপাথর পরিদর্শন শেষে দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত বলেন, এখানে স্থানীয় প্রশাসন আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। তাদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার ছিল।
এদিকে, জাফলং ও সাদাপাথর এলাকার পাথর লুট নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই সিলেট জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সিলেটের ডিসি শের মাহবুব মুরাদকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। মুরাদের বদলে সিলেটের নতুন ডিসি হিসেকে আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে পদায়ন করা হয়। শের মাহবুব মুরাদ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন।