বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:: সিলেটের বালাগঞ্জের মাদরাসা বাজার হাতকড়াসহ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা
আসামি করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এস আই শাহ ফরিদ আহমেদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বালাগঞ্জ থানার মামলা নং-০৭ তাং-০৮/০৮/২৫ ইং। জানাযায়
২০১৪সালের ১৬ডিসেম্বর বালাগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় (মামল নং-৬) উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে ফুজায়েল আহমদ খান সাজুর (৩৫) বিরুদ্ধে ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ ২ বছরের সাজার রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।
সাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সাজু উপজেলা ছাত্র দলের বর্তমান আহবায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক পদে রয়েছেন।
বালাগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানাযায় বৃহস্পতিবার(৭ আগষ্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ৯টার দিকে এসআই শাহ ফরিদ. এসআই বিণয় ভুষন চক্রবর্তী, এসআই সৌরভ সাহা, এএস আই কানন কুমার দাস, এএসআই সুবীর চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদরাসা বাজার ব্রিজের উপরে আসামি সাজুকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়। এসময় সাজু পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি ও চিৎকার করেন। মুহুর্তেই সাজুর ভাই যুবলীগ নেতা রাজুসহ তাদের পক্ষের ১০-১২ জন যুবক এসে পুলিশ অবরুদ্ধ করে হাতকড়া খুলে দেওয়ার দাবী জানান পুলিশ সাজুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা দেখিয়ে হাতকড়া খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান এ নিয়ে তর্কবির্কের জেরে হাতকড়া পড়া সাজু এক পুলিশ সদস্যকে লাথি মারে আরেক পুলিশ সদস্য কে হাতকড়া পড়া হাতে গলায় ও মুখে আঘাত করে এ সময় সাজুর অন্য সহযোগীরা ও পুলিশকে মারধর করে এক পর্যায়ে সাজুর বড় ভাই যুবলীগ নেতা রাজু সহ তাদের সহযোগীরা হাতকড়া পড়া অবস্থায় রাজুকে নিয়ে যান।
এ হামলায় ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এরমধ্যে এএসআই কানন কুমার দাসের গলাসহ শরীরে মারত্মক জখম হয়। এসময় হামলাকীদের হাত থেকে পুলিশকে রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় সিরারপুর গ্রামের একজন আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তাদের প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে বারটার দিকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি শিওরখাল গ্রাম থেকে বিএনপি নেতা তুফায়েল আহমদ সুহেল সহ আসামি সাজুর পিতা মাওলানা ইউনুস খান ও স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের সহযোগিতায় সাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নিতে সক্ষম হন।
৮ আগস্ট আসামি সাজুকে আদালতে সোপর্দ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ এসল্ট মামলায় আসামীরা হলেন ফুজায়েল খান সাজু,রাজু খান,শাওন,শিমুল,আজই,টিটু,সালমান,সাব্বির,নানু মিয়া। মামলার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফরিদ উদ্দিন আহমদ ভুঁইয়া,