জৈন্তাপুর (সিলেট) সংবাদদাতা ::বৈধকাগজপত্র ছাড়া ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২২জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠিয়েছে ভারত। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে এবং ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে।
শুক্রবার( ৮ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন চৌকিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রত্যেককে নিজ নিজ অভিভাবক বা পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়।
ফেরত আসারা হলেন, নেত্রকোনার পিজুস তালুকদার (৬০), সুবেন্দ্র শেখ তালুকদার (২৬), রনি তালুকদার (২৭), মিতু তালুকদার (১৫), পান্না তালুকদার (১৯), সরস্বতী মহানায়ক, স্বপ্ন মহানায়ক (৮), সেজুতি মহানায়ক ঝিনুক (১১), নারায়ন মহানায়ক, পপি রানি(১৬) প্রনয় সাহা (৪৬), উদয় দাস (২৫),পিযুষ তালুকদার (৬০) থানার মো. কাউসার আলী(১৭), মো. নুর আমিন (১৭), সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার মারজান হোসাইন (১৭), কোম্পানীগঞ্জ থানার মো. ইসলাম উদ্দিন (২৫), বিয়ানীবাজার থানার ইকরামুর রহমান সায়েম (১৭), সিলেট এয়ারপোর্ট থানার মোবারক হোসাইন (১৭), সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার পপি রানী (১৬), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শাহরিয়া আহমদ শাওন (১৬), বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার মো. হাসান আলী (৩০), যশোরের সদর থানার কাশফিয়াতুন নূর (১৭), জামালপুরের সরিষাবাড়ি থানার মো. শামীম (৩৫)।
জানা যায়, ভারত থেকে ফেরা ২২ বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার তুরা কারাগারে ২২ জন বাংলাদেশী নাগরিকের কারাভোগ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিজিবি-বিএসএফ'র উপস্থিতিতে তাদেরকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের নিকট হস্তান্তর করে।
এবিষয়ে ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে আমরা প্রতিটি নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফেরাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দায়িত্ব শুধু সীমান্ত রক্ষা নয়, বরং বিপদে পড়া প্রতিটি বাংলাদেশির পাশে দাঁড়ানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপারের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এ ধরনের কার্যকলাপে আইনগত জটিলতা ও জীবনহানির সম্ভাবনা থাকে। তাই এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিজিবি নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।