
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে বিএনপির বিজয় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। শুধু নির্বাচনের ঘোষণা নয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বিএনপি। সেইসাথে নির্বাচনের জন্য সবধরণের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
বুধবার (৬আগষ্ট) সাড়ে ১২ টায় সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিষ্ট্রি মাঠ থেকে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় র্যালীপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে সরকার তাদের কাজ করছে, এখন আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে। দেশের প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে ধানের শীষের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।”
তিনি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শহীদ ও আহতদের পরিবার পুনর্বাসনের বিষয়ে রাষ্ট্র যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের একটি সুস্পষ্ট বার্তা। সেই ইতিহাস আজ আমাদের নতুন প্রেরণা জোগায়—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান লড়াইয়ে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপির এই অবস্থান তৈরি হয়েছে। আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সে লক্ষ্যে বিএনপি প্রস্তুত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বিজয়ী হবে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “দলের অসংখ্য নেতাকর্মী নির্ভীকভাবে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি অবদানের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম জালালী পঙ্কী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, বিএনপির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।
দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রি মাঠ থেকে বিজয় র্যালীটি শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বৃষ্টির কারণে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। টানা বৃষ্টির মধ্যেও নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি র্যালীটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এড. আশিক উদ্দিন আশুক, হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, শহিদ আহমদ (চেয়ারম্যান), মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, শাহাব উদ্দিন আহমদ, সামিয়া বেগম চৌধুরী, কামরুল হাসান শাহীন, সুরমান আলী, যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, এড. সাঈদ আহমদ, আবুল কাশেম, শাকিল মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, এড. আল আসলাম মুমিন, লোকমান আহমদ, মকসুদ আহমদ, এড. মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, ফজলে আহসান রাব্বী, দেলোয়ার হোসেন দিনার, শাহীন আলম জয়, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, সুমেল আহমদ চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, জসিম উদ্দিন, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার।
মহানগর বিএনপির সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, মাহবুব কাদির শাহি, অ্যাড শাহ্ আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান সাদিক, নিপার সুলতানা ডেইজী, ডা. আশরাফ আলী, মুরাদ মুমিন খোকন, আব্দুল হাকিম, আফজাল হোসেন, ব্যারিস্টার রিয়াসত আজিম আদনান, মোতাহির আলী মখন, যুগ্ম সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব, মূর্শেদ আহমদ মুকুল, মির্জা বেলায়াত হোসেন লিটন, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শুয়াইব আমন শোয়েব, রেজাউল করিম আলো, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আহমদ মনজুরুল হাসান মঞ্জু, ফাতেমা জামান রোজী,আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, রফিকুল ইসলাম রফিক,দেওয়ান জাকির, খসরুজ্জামান খসরু, তারেক আহমদ খান, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, ডা. এম এ হক বাবুল, মির্জা সম্রাট, সুদিপ জ্যোতি এষ, সবুর আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ, তাজ উদ্দিন মাসুম, এড. আ মুকিত অপি, নাজিম উদ্দীন, আ: মুনিম, লুৎফুর রহমান মোহন, সৈয়দ লুকনুজ্জামান, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, হাবিব আহমেদ, আব্দুল আজিজ লাকি, খায়রুল ইসলাম। অঙ্গসহযোগী সংগঠনের জুবের আহমদ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল আহাদ, নুরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল হক, কামাল উদ্দিন। এছাড়াও জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সহ বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী।