সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক: ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কতদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে আর কতদিন পর জাতীয় নির্বাচন হবে তা নিয়ে বহু প্রশ্ন মানুষের মধ্যে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বলেছেন রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য করবে সেনাবাহিনী।

 

‘যাই হোক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না জানিয়ে তিনি বলেছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হতে হবে।

 

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

 

খবরের কাগজের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমি তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) পাশে থাকব। যাই হোক না কেন। যাতে তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।’

 

চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে ওয়াকার-উজ-জামান এবং তার সেনাবাহিনী কোনো বাধা দেয়নি। এতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান তিনি।

 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. ইউনূস এরই মধ্যে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করতে বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

 

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ করা উচিত।

 

এ সময় ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

 

তিনি বলেন, আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তা হলে আমি বলব সময়সীমার মাধ্যমে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।

 

জামান জানান, ড. ইউনূস ও তিনি প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে মিলিত হন এবং তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

 

দেশকে স্থিতিশীল করতে সরকারের প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

এ সময় ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমরা যদি এক সঙ্গে কাজ করি তবে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

 

গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে করা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এ আন্দোলনে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক হাজারের বেশি মানুষ শহিদ হন।

 

গণ-অভ্যুত্থানের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকার জমজমাট রাস্তায় এখন শান্তি ফিরে এসেছে।

 

তবে হাসিনা সরকারের নাটকীয় পতনের পর বেসরকারি প্রশাসনের কিছু অংশ এখনো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।

 

প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছেন। তাই দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

সূত্র: রয়টার্স

সংবাদটি শেয়ার করুন