সিলেট ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

আর সময় নয়, দ্রুত নির্বাচন দিন— নবীগঞ্জে বিএনপি নেতার হুঁশিয়ারি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ণ
আর সময় নয়, দ্রুত নির্বাচন দিন— নবীগঞ্জে বিএনপি নেতার হুঁশিয়ারি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতীয় নির্বাচন তিন মাসেই সম্পন্ন করা সম্ভব— সেখানে এক বছর সময় নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “দ্রুত নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করুন, নইলে বিএনপি আর বসে থাকবে না।”

রোববার (৩ আগস্ট) নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “২০০৮ সালে মানুষ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে, আর ২০১৮-তে ভোট হয়েছে আগের রাতে। এবার ২০২৪ সালেও দেখা গেল ‘আমি আর ডেমির’ নির্বাচন। জনগণ এবার সত্যিকার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চায়।”

বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডা. জাহিদ বলেন, “বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর বন্দি রাখা হয়েছে। আর হেঁটে জেলে যাওয়া তারেক রহমান এখন ট্রেচারে চলাফেরা করছেন। সরকারের নির্যাতনের লক্ষ্যবস্তু এখন বিএনপি নেতাকর্মীরা।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “স্বৈরাচারের দোসররা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গোপনে সক্রিয়। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে তার কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।”

এদিকে, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল দলীয় কোন্দল, পাল্টাপাল্টি সভা, লবিং ও গ্রুপিং। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে চমক দেখিয়েছেন দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু। তিনি নেপথ্য থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তার ঘনিষ্ঠ পাঁচ প্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ী করেন।

এই কাউন্সিলে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বাধীন গ্রুপের ভরাডুবি হয়। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফল ঘোষণার পর নবীগঞ্জ বিএনপিতে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

গোপন ভোটে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্বে নির্বাচিত হন— সভাপতি: শামীম আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি: দুলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক: আমির আলী, যুগ্ম সম্পাদক: আব্দুল কাদির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক: আব্দুল হান্নান।

মোট ৯২৩ জন ভোটারের মধ্যে ৮০৩ জন ভোট প্রদান করেন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের কমিটির কাউন্সিলর ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা ভোট দেন। ফলাফল ঘোষণার সময় শেখ সুজাত মিয়া ফোন রিসিভ করেননি এবং কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।

অন্যদিকে, বহিষ্কৃত নেতা শেফু বলেন, “এই ফলাফল নেতাকর্মীদের ভালোবাসার প্রমাণ। আমি কারো বলয়ে নই, আমি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দলের জন্য কাজ করতে চাই।”

সংবাদটি শেয়ার করুন