সিলেট ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ডিগ্রিধারীদের দুর্নীতির রাজত্বে হারিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার: মুরাদ হাসান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ণ
ডিগ্রিধারীদের দুর্নীতির রাজত্বে হারিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার: মুরাদ হাসান

মতামত কলাম: মুরাদ হাসান:

আপনি ধৈর্য্য ধরুন। সামনে এগিয়ে যান। তবে চলার পথে যা দেখছেন, তা যদি শুধু চোখে দেখা হয়, তাহলে অপূর্ণ থাকে উপলব্ধি।

 

এই সমাজে আপনি মানুষের আয়, ব্যয়ের উৎস খুঁজছেন, এ খোঁজ কতটা সঠিক তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। তবে এটুকু বলা যায়, আপনি মানুষের আয়ের উৎস নন, আপনি চাইলে মানুষের জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারেন। মানুষ বাঁচতে চায়, কাজ করতে চায়, স্বপ্ন দেখতে চায়।

 

তবে যাকে আপনি খুঁজতে যাচ্ছেন, নিয়ম না অনিয়ম, যদি অনিয়ম হয়, শাস্তির ব্যবস্থা রাখুন। এ দেশের মানুষ প্রতিদিন দিন সংকটে পতিত হচ্ছে। অথচ দুর্নীতি করছে সেইসব মানুষ, যারা শিক্ষিত, যাদের হাতে আছে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব। তাদেরই অনেকে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে রাষ্ট্রীয় পদে থেকে, দেশের টাকায় বিদেশে বিলাস বহুল জীবন গড়ে তোলে। অথচ দেশের মাটিতে তারা রেখে যাচ্ছে দুর্নীতির বিষবাষ্প।

 

প্রাচীনকাল থেকেই নির্যাতিত এই দেশের সূর্য সন্তান কৃষক, মেহনতী মানুষ, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা। তারা নিঃশব্দে কাঁধে সমাজের ভার বহন করে চলেছে। আর উচ্চ ডিগ্রিধারী, কথিত জ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন কাঙালের ধন চুরি।

 

আজকাল নীতিকথা সবাই জানে, কিন্তু মানে কয়জন?

 

লিখতে হবে। সকলের ভালোর জন্য লিখতে হবে। কারণ প্রতিদিন সমাজ ধ্বংস করছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী রাঘব বোয়ালেরা। তারা ক্ষমতার প্রাচীরে দাঁড়িয়ে, গরিবের সম্পদ আত্মসাৎ করছে। পাঁচ আগস্টের পর থেকে যে অরাজকতা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে, সেটি কেউ লিখছে না। কেন লিখছে না?

 

 

আপনি লেখক। কিন্তু আপনি যদি ঘরে বসে সুবিধা নিয়ে চুপ থাকেন, তাহলে সমাজে ন্যায়ের কণ্ঠস্বর কে হবে? আজকাল দেখা যায়, মেহনতী মানুষের পিঠে চড়ে স্বার্থ হাসিল করছে প্রভাবশালীরা। বড় বড় ‘স্যার’ কিনে নেওয়া হচ্ছে, আর মেহনতী মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে।

 

বড় ডিগ্রি নিয়ে যারা সমাজের নেতৃত্বে বসেছেন, তাদের অনেকে নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তারা খাঁড়ার উপরে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ নিচে জমিন নেই। অতীতে বহু ডিগ্রিধারীকেই দেশ থেকে পালাতে দেখা গেছে, চুরির অভিযোগে।

 

আজ দুর্নীতি শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, সাংবাদিকতাতেও ঢুকে পড়েছে। ক্লাব, সংগঠনগুলো এখন অদক্ষদের হাতে। আগে যে ছিল চা বিক্রেতা, এখন সে সাংবাদিক নেতা। যে ছিল একদিন ‘খাঁটি সোনা’, সে আজ অযোগ্যতার ভিড়ে হারানো বালুকণা,আর সিংহাসনে বসে সমাজ চালাচ্ছে তলাবিহীন ঠাকুরমার ঝুলি হাতে ভদ্র ভিক্ষুক।

 

এই লেখার উদ্দেশ্য কারো মানহানি নয়, বরং সমাজকে তার চেহারা দেখানো। যারা সত্য বলবে না, তারা ইতিহাসে থাকবে না। আপনি লিখুন, সাহস নিয়ে লিখুন। কারণ আপনার কলমের সৎ শক্তিই সমাজের সবচেয়ে বড় আশা।

সংবাদটি শেয়ার করুন