বড়লেখা প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অসচ্ছল ৪৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “জাকির হোসেন শিক্ষা-সেবা ফাউন্ডেশন”। শিক্ষাবান্ধব এ উদ্যোগের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন ইউনিফর্ম তুলে দেওয়া হয়।
রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার বদরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণভাগ এন.সি.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসুক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণভাগ এন.সি.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লুৎফর রহমান, প্রবীণ নাগরিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সত্তার এবং দক্ষিণভাগ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টু চন্দ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি হাফিজ খলিলুর রহমান শাহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ছাদ উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা ফয়ছল আহমদ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জুবের আহমেদ, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক আফজাল হোসেন রুমেল, সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক আমির হামজা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন, কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম শহিদ, কার্যকরী সদস্য আব্দুল্লাহ আহমদ ও জালাল আহমদ, এবং প্রবাসী সদস্য আব্দুল কাদির লাভলু।
বক্তারা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাবঞ্চিত ও অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য এমন মানবিক উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। জাকির হোসেন শিক্ষা-সেবা ফাউন্ডেশন এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, “আমরা চাই, এলাকার কোনো শিক্ষার্থী শুধুমাত্র পোশাকের অভাবে যেন শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে না পড়ে। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি একটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন গড়তে সহায়ক হয়, তবেই সেটি আমাদের বড় অর্জন”। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, জাকির হোসেন শিক্ষা-সেবা ফাউন্ডেশন নিয়মিত শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগসহ আশপাশের এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব রেখে চলেছে।