সিলেট ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ছাতক উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০২৫, ০৩:৪১ অপরাহ্ণ
ছাতক উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি,ছাতকঃ

ছাতকে উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এবং SDIRIIP প্রকল্পে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মসহ নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

 

১৫টি স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগণ গত ১৫ জুলাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, উপজেলা প্রকৌশলী যোগদানের পর থেকেই ঠিকাদারদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

 

প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম শুধু ঘোষ (ঘুষ) আদায় নিয়েই ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফাইল আটকে রেখে মাসের পর মাস বিল আটকে রাখা, ফান্ডে টাকা থাকলেও ২% ঘুষ ছাড়া বিল অনুমোদন না দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগকারী ঠিকাদারদের অনেকেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে কাজ পরিচালনা করেন, ফলে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

 

২০২৫ সালের ৬ মার্চ GPS স্কুলের একটি প্রকল্পে বরাদ্দ থাকলেও ২% ঘুষ না দেওয়ায় বিল আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ঠিকাদাররা আরও দাবি করেছেন, ঘুষ বানিজ্যের জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় সিংহকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস করেন, বাকি সময় সাইট পরিদর্শনের নামে ঠিকাদারদের থেকে সিএনজি ভাড়া বাবদ ২-৩ হাজার টাকা করে আদায় করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

 

অভিযোগকারীরা বলেন, এর আগেও তার পূর্ববর্তী কর্মস্থলে ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

 

ছাতক উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে আরও সরকারি (জিওবি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মরত থাকা সত্ত্বেও প্রকল্পভিত্তিক উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় সিংহকেই ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রকল্পের স্ট্যাম্প বা সিল ব্যবহার না করে সরকারি স্টাফ পরিচয়ে ছাতকের বিভিন্ন রাস্তা ও অবকাঠামো প্রকল্পে নিরাপত্তা প্রদানের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছেন।

 

এই পরিস্থিতিতে ছাতক উপজেলার ঠিকাদারগণ দুর্নীতির তদন্তপূর্বক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও সঞ্জয় সিংহের অপসারণ এবং একজন যোগ্য উপজেলা প্রকৌশলীর নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

 

অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন: মেসার্স শহীদ ট্রেডার্স, মোঃ সাদেকুর রহমান, মেসার্স অমল কান্তি দে, মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সাদিয়া অ্যান্ড মেহজাবিন, মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মাইমুনা ট্রেডার্স, মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সনি ট্রেডার্স, মেসার্স রুজিন কনস্ট্রাকশন, মেসার্স হক ট্রেডার্স, মেসার্স শাহ দামড়ী এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স আম্মাজান এন্টারপ্রাইজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন