অনলাইন ডেস্ক ::মিটফোর্ডে খুন কেন..? তারেক রহমান জবাব দে, স্লোগানে উত্তাল ঢাবি রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) তিন নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় গত বুধবার (৯ জুলাই) লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন-মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিন। এছাড়া র্যাব ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।”
জানা গেছে, মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় গত বুধবার সোহাগকে একদল লোক এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরবর্তীতে পুলিশ নিহত ব্যক্তির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে।
নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
এদিকে, পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যা করার ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।