
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংস্থ পিয়াইন নদীর কাটারি নামক স্থান থেকে স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা ইসিএ ভুক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথরের (লাইন)’র টাকা উত্তোলনের সময় নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ পাভেল আহমদ’র মরদেহটি ৭৫ঘন্টা পর ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ পাভেল আহমদ (২২) গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১নং মধ্যে জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামের মহরম আলীর ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (২জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় গোয়াইনঘাট থানাধীন ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত নয়াবস্তি সাকিনস্থ জনৈক আতাই মেম্বারের বাড়ির দক্ষিণ পাশে পিয়াইন নদীতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্থান থেকে বালু-পাথর উত্তোলনের (লাইন)’র টাকা আনতে যাওয়ার সময় নদীর মধ্যেখানে প্রবল স্রোতে পাবেল আহমদ (২২) নৌকা থেকে পড়ে নদীর স্রোতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাভেলকে না পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে থানার এসআই ওবায়দুল্লাহ সঙ্গীও ফোর্সসহ ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ পাভেল আহমদকে উদ্ধারের নিমিত্তে অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজ পাভেল আহমদ’র কোন সন্ধান পায়নি।
অবশেষে বৃহস্পতিবার(৫ জুন) দুপুর ১২টায় নিখোঁজ পাভেল আহমদ’র মরদেহ পানিতে ভেসে উঠে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন নিহত পাভেল একজন মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে পড়ে যায়। অপর দিকে নিহত পাভেল আহমদ’র পিতা মহরম আলী ও এলাকাবাসী জানান ঘটনার পূর্বে পাভেল আহমদকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়েছে। যাহা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, নিখোঁজ পাভেল আহমদ’র মরদেহটি ঘটনার ৭৫ঘন্টা পর ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিহত পাভেল মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।