সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

হবিগঞ্জে মা-মেয়েসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাহের উদ্দিনের ফাঁসি

admin
প্রকাশিত মে ২০, ২০২৫, ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জে মা-মেয়েসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাহের উদ্দিনের ফাঁসি

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ::

হবিগঞ্জের মাধবপুরের ধর্মঘরের বীরসিংহপাড়ার পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাবী ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার (২০-মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো.কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত শাহ আলম মাধবপুর উপজেলার বীরসিংহপাড়ার প্রয়াত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান জানান, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় বিচারক তাকে আলাদা তিনটি মৃত্যুদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। আসামি ২০১৬ সাল থেক কারাগারে ছিলেন।

 

নিহতরা হলেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শাহ আলমের ভাবী ও বীরসিংহপাড়ার গিয়াসউদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।

 

মামলার নথি থেকে জানা যায়,পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহ আলম ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহানারা ও শারমিনকে তাদের ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আহতদের চিৎকারে শিমুল এগিয়ে আসলে ছুরিকাঘাত করেন তাকেও। এতে জাহানারা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বাকী দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় নিহতদের স্বামী ও পিতা তখন দুবাই প্রবাসে ছিলেন বিধায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ কয়েকদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করে।

 

এরপর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলম জানান, তিনি গ্রীস প্রবাসে থাকার সময় জাহানারাকে কয়েক দফা টাকা পাঠান, এছাড়াও পৈতৃক সম্পত্তি বঞ্চিত হওযার ক্ষোভে দেশে ফিরে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করে। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।

 

নিহত জাহানারার স্বামী গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন চাই। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন