সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে ৭৬ প্রকল্পে (পিআইসি) ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ৭৬টি প্রকল্প (পিআইসি) কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প কমিটি গঠনের কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওয়েব সাইটে পিআইসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রকল্প কমিটি (পিআইসি) গঠন হওয়ায় হাওর পাড়ের প্রকৃত কৃষকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন জানান, শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, বর্ধিত গুরমা ও আঙ্গারুলি হাওরে মোট ৭৬ টি প্রকল্পে ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবার হাওরের পানি ধীর গতিতে নামায় বাঁধের কাজ একটু বিলম্বে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মহালিয়া, গুরমা, আঙ্গারুলি সহ বিভিন্ন হাওরের বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার হাওর পাড়ের প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে গণশুনানির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে নানা জটিলতা থাকলেও এবছর কৃষক সহ স্থানীয়রা বলছেন, প্রকৃত কৃষকদের অংশগ্রহণে এবার পিআইসি গঠন করা হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধ মনিটরিং কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে যাচাই- বাচাই করে ৭৬টি প্রকল্পের পিআইসির খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা প্রকাশ করেন কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
মাটিয়ান হাওর হাওর পাড়ের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার অধিকাংশই পিআইসি গঠনে স্বচ্ছতার মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। প্রকাশিত তালিকার অধিকাংশই প্রকৃত কৃষকরাই স্থান পেয়েছেন। এবার দলীয় নেতাদের কাছে ধর্ণা দিতে হয়নি কৃষকদের। এবার কৃষকদের মতামত নেয়া হয়েছে এবং উপজেলা মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে পিআইসি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাটিয়ান হাওরে এবার পিআইসি প্রাপ্ত সিজিল মিয়া বলেন, কৃষক হওয়া সত্বেও বিগত বছর গুলোতে আওয়ামীলীগ দোসরদের কারণে প্রকৃত কৃষকরা পিআইসি পাননি। পিআইসি পেতে হলে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে তাদের। এবছর আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে টাকা ছাড়াই তার নাম তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। হাওরের বাঁধ টেকসই মজবুত করে করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, কৃষকদের ফসল ঘরে তুলতে নীতিমালা অনুযায়ী প্রকৃত কৃষকদের মধ্যেই এবার পিআইসি গঠিত হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার বাঁধের কাজের মান ভাল হবে বলে আসা করেন তিনি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসেম জানান, হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের ৭৬টি প্রকল্প (পিআইসি) যাচাই-বাছাই করে কমিটি গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরে বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের কাজ শেষ হবে।
নিউজ: +৮৮ ০১৭১৪-৬০৯৯৫৪ বিজ্ঞাপন: +৮৮ ০১৬১৪-৬০৯৯৫৪ ইমেইল: channeljaintanews24@gmail.com চিকনাগুল ৩১৫২- জৈন্তাপুর, সিলেট।