
বিগত যুগ ধরে ১ জানুয়ারি বই উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। এই দিনটি শিশুদের আবেগ আপ্লুত, অনুভূতি নতুন বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ও উৎসবের দিন। সরকারের পক্ষ থেকে এই দিনটিতে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন পাঠ্য বই বিতরণ করে থাকেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনীহা দায়িত্বের কারণে এই বছর ২০২৫ সালে ১ জানুয়ারি বই বিতরণ উৎসবটি উদযাপিত হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে এটার মতো ব্যর্থতা আর দেখা দেয়নি। বিগত আগস্ট মাসে জনগণের ভালোবাসা আবেগ অনুভূতি আশা প্রত্যাশা নিয়ে এই সরকারের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বই উৎসব উদযাপনে অক্ষমতা প্রকাশ ও শিশুদের আবেগ অনুভূতি অমূল্যায়নের কারণে মানুষ এই সরকারের প্রতি আশা ভরসা হারিয়ে ফেলতেছে।
সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্বরত আছেন প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ তিনি যোগ্য জ্ঞানী বটেই কিন্তু এই কাজে তার অযোগ্যতা প্রকাশ করেছে। তিনি অর্থনৈতিক দক্ষতার দিক দিয়ে যোগ্য স্বীকৃত তবে শিক্ষামন্ত্রীর কাজে তিনি অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে। তার এই ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশের লাখো শিশু নিরাশ হয়েছে।
ভগ্নহৃদয়ে অশ্রুভরা জল নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরতে হয়েছে নতুন বই প্রত্যাশিত শিশুদের। প্রতিবছর ৪০ কোটি বই বিতরণ করা হয় কিন্তু দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতার কারণে এই বছর প্রস্তুত করতে পেরেছে ৬ কোটি। প্রাইমারি বইয়ের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে মে মাসে, টেন্ডার ওপেন করা হয়েছিল জুন মাসের ২৪ তারিখ, সেটার চুক্তি করা হয়েছে নভেম্বরের ১১ তারিখে। বাকি শ্রেণীগুলোর বইয়ের টেন্ডার এখনো ধাপে ধাপে চলমান। এখানে বলা যেতে পারে ইতিহাস পরিবর্তন করা হয়েছে এজন্য সময় লাগতেছে কিন্তু কথা হচ্ছে বাকি বইগুলো প্রস্তুত হয় নাই কেন? এটা দ্বারা স্পষ্ট প্রকাশ পাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের অযোগ্যতা। যে সরকারের হাতে জনগণ আশা ভরসা ভালোবাসা নিয়ে রাষ্ট্র তুলে দিয়েছিল আজ সেই সরকারের প্রতিনিধি শিশুদের আবেগ অনুভূতির মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের আস্থা উঠে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের প্রতি। আশা করি অন্তর্বর্তী কালীন সরকার সচেতন হয়ে জনগণের আশা ভরসা ভালোবাসার যথার্থ মূল্যায়ন করবেন।
লেখক: জাহেদুল ইসলাম রায়হান
শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো,মিশর
