কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
কোম্পানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে হাজারো ছাত্র-জনতা লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা সদরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় উপজেলা পরিষদ গেইটে পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া সরকার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই সাংবাদিকসহ পনেরজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সোহরাব আহমদ, সিলেট মিরর প্রতিনিধি কবির আহমদ, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, যুবলীগ সদস্য নবী হোসেন। পুলিশের টিয়ারগ্যাসে আহত হয় আন্দোলনকারী রহমত ও রুহুল। আহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, আন্দোলনকারীরা সরকারি কয়েকটি স্থাপনায় ভাংচুর চালায়। শহিদ মিনার, উপজেলা অডিটোরিয়াম, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে ভাংচুর চালানো হয়। উপজেলা পরিষদ গেইটের পাশে স্থাপিত ইমরান আহমদ এমপির নামফলক ভাঙা হয়। সরকার সমর্থকরা আশ্রয় নিয়েছে সন্দেহে কয়েকটি বাসাবাড়িতেও ইটপাটকেল ছুঁড়ে আন্দোলনকারীরা। এতে বেশ কয়েকটি কাঁচের জানালা ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে তারা আগুন জ্বালিয়ে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে। দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান শেষে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ১০টা থেকে টুকেরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ৯ দফা দাবিতে টুকেরবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানাবাজারের দিকে যাচ্ছিলো। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ গেইট এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে সরকার সমর্থকদের কয়েকজন ইটপাটকেল ছুঁড়েন। এসময় আন্দোলনকারীরা তাদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে সরকার সমর্থকরা আশপাশের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে আশ্রয় নেন। কেউ কেউ দৌড়ে পালান। আন্দোলনকারীরা ব্যাপকহারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে এবং ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে একপর্যায়ে টিয়ারগ্যাস ছুঁড়তে দেখা যায়। পরে সিলেট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, 'আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রথমে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমাদের অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। আমরা পরিকল্পিত এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।'
এই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার প্রভাকর রায় বলেন, হাসপাতালে পনেরজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিয়েছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা ও সরকার দলীয় লোকজন কাছাকাছি চলে আসায় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।
নিউজ: +৮৮ ০১৭১৪-৬০৯৯৫৪ বিজ্ঞাপন: +৮৮ ০১৬১৪-৬০৯৯৫৪ ইমেইল: channeljaintanews24@gmail.com চিকনাগুল ৩১৫২- জৈন্তাপুর, সিলেট।