
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি::
জৈন্তাপুর উপজেলায় অবৈধভাবে স্হাপিত স্টোন ক্রাশার মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে লিখিত নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ৩০শে সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া স্বাক্ষরিত এই নোটিশ আবাসিক প্রকৌশলী জৈন্তাপুর ও জেনারেল ম্যানাজার সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, জৈন্তাপুর উপজেলায় স্হাপিত কোন স্টোন ক্রাশার মিলে লাইসেন্স নেই। অবৈধভাবে স্হাপিত এ সকল মিলের কারণে পরিবেশের ক্ষতি সাধন সহ মিলের আশপাশের লোকজনের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায় মিলের পাশ দিয়ে চলাচলরত লোকজনের জীবনেও ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে উপজেলায় অবৈধভাবে স্হাপিত সকল ক্রাশার মিলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ (পিডিবি)র আবাসিক প্রকৌশলী সজল চাকলাদার। তিনি বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর ৪ নং বাংলা বাজার ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান বিলাল বলেন, সোমবার পর্যন্ত এমন কোন নোটিশ এখনোও সমিতির হাতে এসে পৌছায় নি। তবে পাশ্ববর্তী আলুবাগান এলাকায় মিল মালিকদের নিকট নোটিশ পৌঁছেছে বলে তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে তিনি আর কোন মন্তব্য করেননি।
এদিকে উপজেলার ক্রাশার মিল থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া। তিনি জানান নির্ধারিত সময়ে প্রশাসনের নির্দেশ না মানলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ে সারী-৩ এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান করে বালু নৌকা জব্দ করা হলেও রাতের আঁধারে লালাখাল সারিঘাট রোড ব্যবহার করে অবৈধ বালু পরিবহন করছে কিছু অসাধু চক্র। আজ সোমবার যে সকল জমিতে লিক ( বালু পরিবহনের রাস্তা) তৈরী করে রাতে বালুর গাড়ী প্রবেশ করে সেই সমস্ত সকল লিকের প্রবেশপথ স্হায়ীভাবে বেষ্টনী দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যপারে ইতিমধ্যে উপজেলা স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।