ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট চুরি ও এস আই আর এর প্রতিবাদে, নির্বাচন কমিশন দপ্তর অভিযানে, কংগ্রেসের যুব কর্মীরা গ্রেপ্তার

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৯:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১ পড়া হয়েছে
২০

রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ::

সোমবার (১৩ই অক্টোবর) , ঠিক দুপুর বারোটায়, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেস কমিটির আহবানে, টিপু সুলতান মসজিদ ও কলকাতা কেএম সি সামনে কয়েকশো যুব কংগ্রেস সদস্য জমায়েত হয়ে, বেলা একটা নাগাদ, উদয় ভানুজীর নেতৃত্বে, মিছিল করে নির্বাচন কমিশন দপ্তর অভিযান করেন।

 

উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কমিটির উদয় ভানুজী, সৌরভ প্রসাদ, সৌভিক সৌকিন, আজমল খান , প্রমোদ পান্ডে এবং মোস্তাক সহ বহু যুব কংগ্রেস সদস্য ও মহিলা সদস্য।

 

মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল রোড ও টিপু সুলতানের কাছ থেকে একত্রিত হয়ে ডেন্টিস্ট স্ট্রীট ধরে যখন মিচির নির্বাচন দপ্তরের দিকে এগিয়ে যায়, নির্বাচন দপ্তর থেকে বেশ কিছুটা আগে ব্যারিকেড করে তাদের আটকে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকায়,

মিছিলে একটা স্লোগান, ভোট চোর গদি চোর- চাকরি চোর গো দি চোর, এই স্লোগানকে সাথে নিয়েই তাদের অভিযান, তারা বলেন রাহুল গান্ধীর নির্দেশে আমরা নির্বাচন দপ্তর অভিযান করছি।, যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ভোট চুরি করেছে, উদ্দেশ্য পণ্যদিত এস আই আর নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

বাজনা বাদ্যি সহকারে মিছিল বিশাল আকার ধারণ করে, বিভিন্ন জেলা থেকে যুব কংগ্রেসের সদস্যরা উপস্থিত হন, মিছিলে আরএসএস-এর সহ প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল আনেন এবং তাদের কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে শুরু করেন।

মিছিল আটকানোর সাথে সাথে তারা সেই সকল কুসপুতুল এবং আরএসএস-এর প্যান্ট আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেন।

তারপরেই শুরু হয় ব্যারিকেট ভাঙার কাজ, বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির পর যখন ব্যারিকেট ভাঙতে যায় এবং ব্যারিকেড টোপকে নির্বাচন কমিশনের দিকে এগোতে যান ,পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ও চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে, তারা বলেন ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের ফলে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনিক তরফ থেকে মাইকিং মাধ্যমেও বারবার সতর্কতামূলক নির্দেশ দেন , যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না ঘটে, প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত না করলে, যখন ব্যারিকেড ভাঙ্গে সেই সময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করে, এবং চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে। মহিলাদেরও বাদ দেননি, একইভাবে তাদেরকেও গাড়িতে তোলা হয়।

 

তাহারা পুলিশকে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু স্লোগান দিতে থাকেন, বলেন আমাদের সাথে রাহুল গান্ধী আছে আমরা কাউকে ভয় পাই না। ভোট চোর গদি চোর দেশ থেকে হটাও। বেশ কিছুকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয় যদি আপনার এখান থেকে না সরে যান আমরা সবাইকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবো। পরে একে একে সবাই ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। কংগ্রেস সদস্যরা বলেন আমাদেরকে জোর করে আটকে দেয়া হলো নির্বাচন কমিশনে যেতে দিলেন না প্রশাসন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবস উদযাপিত: সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা

Follow for More!

ভোট চুরি ও এস আই আর এর প্রতিবাদে, নির্বাচন কমিশন দপ্তর অভিযানে, কংগ্রেসের যুব কর্মীরা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০৯:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
২০

রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ::

সোমবার (১৩ই অক্টোবর) , ঠিক দুপুর বারোটায়, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেস কমিটির আহবানে, টিপু সুলতান মসজিদ ও কলকাতা কেএম সি সামনে কয়েকশো যুব কংগ্রেস সদস্য জমায়েত হয়ে, বেলা একটা নাগাদ, উদয় ভানুজীর নেতৃত্বে, মিছিল করে নির্বাচন কমিশন দপ্তর অভিযান করেন।

 

উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কমিটির উদয় ভানুজী, সৌরভ প্রসাদ, সৌভিক সৌকিন, আজমল খান , প্রমোদ পান্ডে এবং মোস্তাক সহ বহু যুব কংগ্রেস সদস্য ও মহিলা সদস্য।

 

মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল রোড ও টিপু সুলতানের কাছ থেকে একত্রিত হয়ে ডেন্টিস্ট স্ট্রীট ধরে যখন মিচির নির্বাচন দপ্তরের দিকে এগিয়ে যায়, নির্বাচন দপ্তর থেকে বেশ কিছুটা আগে ব্যারিকেড করে তাদের আটকে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকায়,

মিছিলে একটা স্লোগান, ভোট চোর গদি চোর- চাকরি চোর গো দি চোর, এই স্লোগানকে সাথে নিয়েই তাদের অভিযান, তারা বলেন রাহুল গান্ধীর নির্দেশে আমরা নির্বাচন দপ্তর অভিযান করছি।, যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ভোট চুরি করেছে, উদ্দেশ্য পণ্যদিত এস আই আর নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

বাজনা বাদ্যি সহকারে মিছিল বিশাল আকার ধারণ করে, বিভিন্ন জেলা থেকে যুব কংগ্রেসের সদস্যরা উপস্থিত হন, মিছিলে আরএসএস-এর সহ প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল আনেন এবং তাদের কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে শুরু করেন।

মিছিল আটকানোর সাথে সাথে তারা সেই সকল কুসপুতুল এবং আরএসএস-এর প্যান্ট আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেন।

তারপরেই শুরু হয় ব্যারিকেট ভাঙার কাজ, বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির পর যখন ব্যারিকেট ভাঙতে যায় এবং ব্যারিকেড টোপকে নির্বাচন কমিশনের দিকে এগোতে যান ,পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ও চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে, তারা বলেন ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের ফলে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনিক তরফ থেকে মাইকিং মাধ্যমেও বারবার সতর্কতামূলক নির্দেশ দেন , যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না ঘটে, প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত না করলে, যখন ব্যারিকেড ভাঙ্গে সেই সময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করে, এবং চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে। মহিলাদেরও বাদ দেননি, একইভাবে তাদেরকেও গাড়িতে তোলা হয়।

 

তাহারা পুলিশকে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু স্লোগান দিতে থাকেন, বলেন আমাদের সাথে রাহুল গান্ধী আছে আমরা কাউকে ভয় পাই না। ভোট চোর গদি চোর দেশ থেকে হটাও। বেশ কিছুকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয় যদি আপনার এখান থেকে না সরে যান আমরা সবাইকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবো। পরে একে একে সবাই ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। কংগ্রেস সদস্যরা বলেন আমাদেরকে জোর করে আটকে দেয়া হলো নির্বাচন কমিশনে যেতে দিলেন না প্রশাসন।