সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জৈন্তাপুরে তিন ভূমি অফিসে জনবল সংকট, সেবা পেতে ভোগান্তি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ণ
জৈন্তাপুরে তিন ভূমি অফিসে জনবল সংকট, সেবা পেতে ভোগান্তি

ডেস্ক নিউজ ::সিলেটের উপজেলার জৈন্তাপুর সদর, দরবস্ত ও হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জনবল সংকটের কারণে সেবা নিতে আসা মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।এছাড়াও জমি বিক্রি কিংবা হস্তান্তরের মতো কাজও সম্পন্ন করতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।

 

এই তিনটি ভূমি অফিসে ১৮টি পদের বিপরীতে ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। ফলে বাকি ৭ টি পদ শূন্য থাকায় স্থানীয় লোকজন ঠিকমতো সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

 

অফিসগুলো সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি অফিসে মোট ৯টি ভূমি সহকারী, কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা এবং ৯টি অফিস সহায়ক পদ থাকা সত্ত্বেও, ৪টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং ৩টি অফিস সহায়ক পদ শূন্য রয়েছে।

 

জৈন্তাপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৩টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মধ্যে ২ জন কর্মরত এবং ১টি শূন্য। অফিস সহায়ক ৩টির মধ্যে ২ জন কর্মরত এবং ১টি শূন্য। দরবস্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও ৩ টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মধ্যে ২ জন কর্মরত, ১টি শূন্য এবং অফিস সহায়ক ৩টির মধ্যে ২ জন কর্মরত, ১টি শূন্য। হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৩টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ১ জন কর্মরত, ২টি শূন্য এবং অফিস সহায়ক ৩টির মধ্যে ১ জন কর্মরত, ২টি শূন্য।

 

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দৈনন্দিন সেবা পেতে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় দরকারি কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং সেবা নেওয়া সহজ হচ্ছে না। এছাড়া জমি বিক্রি কিংবা হস্তান্তরের মতো কাজও সম্পন্ন করতে পড়তে হয় নানা মুখী সমস্যায়। এতে করে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।

 

 

হরিপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে সহকারী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, জনবল সংকটের বিষয়টি উপজেলা নিবার্হীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি জনবল কম হওয়ার কারণে সব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব করা যাচ্ছে না। দাপ্তরিক কাজে বা সেবাগ্রহীতাদের আবেদনে মাঠ পর্যায়ে তদন্তে গেলে অফিসের কাজগুলো আটকে থাকে। এতে করে সেবা গ্রহীতাদের সেবা পেতে বিঘ্নতা ঘটে। আমরা আশাবাদী শীঘ্রই শূন্য পদগুলো পূরণ হলে সেবা প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হবে।

 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রতি মাসে শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়। শাবাদী শীঘ্রই শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

 

জৈন্তাপুরের সাধারণ মানুষ আশা করছেন, শীঘ্রই এই জনবল সংকট সমাধান হবে, তারা সহজেই ভূমি সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Follow for More!