সিলেট ২রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নকলায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ণ
নকলায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে শেরপুরের নকলায় বিনামূল্যে কুকুর বিড়ালকে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান করা হয়েছে। ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে, কাজ করি সবাই মিলে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার দিনব্যাপি জলাতঙ্কের টিকা দান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

 

সকালে নকলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সামনে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

বক্তারা জানান, জলাতঙ্ক একটি ভয়াবহ ভাইরাসজনিত রোগ, যা সংক্রমিত প্রাণীর কামড়ে বা আঁচড়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মানুষের মুত্যু ঘটে বলে এক জরিপের বরাত দিয়ে তারা জানান। তবে সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত চিকিৎসা ও নিয়মিত টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও বক্তারা জানান।

 

তারা বলেন,‘জলাতঙ্ক প্রতিরোধে শুধু সরকারের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, জনগণকে অধিকতর সচেতন হতে হবে। সবাই যদি তাদের পোষা প্রাণীকে নিয়মিত টিকা দেন, তবে খুব সহজেই এ রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জলাতঙ্কের আক্রমন হয়েগেলে তখন এর কোনো চিকিৎসা নেই। তাই আগাম টিকা গ্রহনের কোন বিকল্প নেই।’ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ও টিকা গ্রহনের পরামর্শ দেন তারা। জলাতঙ্ক সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে নাগরিকদের সচেতনতা অপরিহার্য।

 

বক্তারা আশা ব্যক্ত করে জানান, কুকুর বিড়ালকে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে অচিরেই জলাতঙ্ক নির্মূল করা সম্ভব হবে। তাই জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।

 

এসময় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. সুজন মিয়া, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রঞ্জু, মো. লুৎফর রহমান ও শহিদুল ইসলাম, ড্রেসার মো. এমদাদুল হক, লাইভস্টক ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট, এলএসপিসহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি, কুকুর বিড়াল পালনকারী কৃষকগন, খামারি, পশুপ্রেমী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

ক্যাম্পেইন চলাকালীন উপজেলার অনেকেই তাদের নিজ পোষ্য কুকুর ও বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেন। প্রকৃতির কল্যাণে এরূপ উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রশংসা করেন তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Follow for More!