ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৬:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৯ পড়া হয়েছে
১৮

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী।

 

১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

 

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

 

তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সিলেটে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

Follow for More!

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৬:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৮

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী।

 

১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

 

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

 

তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সিলেটে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।