ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে দাফনের ১৭ দিন পর ‘জীবিত’ উদ্ধার নিখোঁজ কিশোর!

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৮:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
২১

সিলেটের ওসমানীনগরে নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। অথচ এরই মধ্যে একটি অজ্ঞাত মরদেহকে নাঈম বলে শনাক্ত করে দাফনও সম্পন্ন করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার (২৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কিশোর নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়ারচর গ্রামের কণাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাঈম গত ২৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার বুলবুল ফকিরের রেস্টুরেন্টে কাজ করত।

 

পরিবার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেটিকে নাঈম বলে শনাক্ত করে গ্রহণ করে তার পরিবার এবং ৫ আগস্ট দাফন সম্পন্ন করে।

 

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল ফকিরকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

 

দাফনের ১৭ দিন পর যখন নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করা হলো, তখন পুরো ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে – তাহলে কুলাউড়ায় পাওয়া সেই অজ্ঞাত মরদেহ কার ছিল?

 

এছাড়া ভুল শনাক্ত করার কারণে একটি নির্দোষ ব্যক্তিকে যদি জেল খাটতে হয়, তবে সেটি একটি গুরুতর বিষয় বলে মনে করছেন অনেকে।

 

কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নাঈমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

Follow for More!

সিলেটে দাফনের ১৭ দিন পর ‘জীবিত’ উদ্ধার নিখোঁজ কিশোর!

প্রকাশিত: ০৮:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
২১

সিলেটের ওসমানীনগরে নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। অথচ এরই মধ্যে একটি অজ্ঞাত মরদেহকে নাঈম বলে শনাক্ত করে দাফনও সম্পন্ন করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার (২৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কিশোর নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়ারচর গ্রামের কণাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাঈম গত ২৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার বুলবুল ফকিরের রেস্টুরেন্টে কাজ করত।

 

পরিবার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেটিকে নাঈম বলে শনাক্ত করে গ্রহণ করে তার পরিবার এবং ৫ আগস্ট দাফন সম্পন্ন করে।

 

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল ফকিরকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

 

দাফনের ১৭ দিন পর যখন নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করা হলো, তখন পুরো ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে – তাহলে কুলাউড়ায় পাওয়া সেই অজ্ঞাত মরদেহ কার ছিল?

 

এছাড়া ভুল শনাক্ত করার কারণে একটি নির্দোষ ব্যক্তিকে যদি জেল খাটতে হয়, তবে সেটি একটি গুরুতর বিষয় বলে মনে করছেন অনেকে।

 

কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নাঈমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’