ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বানচাল করে তামাবিল স্থলবন্দরের অঘোষিত সম্রাট শাহপরাণ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১০:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • ১৫ পড়া হয়েছে
২২

সিলেটের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সংগঠন তামাবিল আমদানিকারক গ্রুপের নির্বাচন হওয়ার কথা ১৪ আগস্ট। তবে নির্বাচন বানচাল করে তামাবিল স্থলবন্দরের একক ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছেন বালি- পাথর লুটের দায়ে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ।

 

অভিযোগ উঠেছে , ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার এমপি শফিউল আলম নাদেলের আস্থাভাজন রাসেলসহ আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কতিপয় লোকদের নিয়ে ১৩ আগস্ট রাতে মিটিং করে নির্বাচন না করে আওয়ামীলীগ কায়দায় নিজেকে সভাপতি ঘোষনা করেছেন।

 

ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । এ য়ে সংঘাত সৃস্টি হতে পারে।

 

৫ আগস্টের পটপরিবর্তণের পর তিনি সীমান্তবর্তী এলাকয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃস্টি করেছেন। বালি-পাথর লুটপাট ও তামাবিল পোর্টের দখল নেন। পরে জাফলং সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় দল বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।

 

দলের শাস্তি খড়গের পর আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেন রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ। পরে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করায় পরিবেশ অধিদপ্তর বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার পরও থেমে থাকেন নি তিনি চালিয়েছেন ধ্বংসযজ্ঞ, করেছেন পরিবেশ বিনষ্ট, কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। এভাবে তার তান্ডবলীলা সীমান্ত এলাকায় চলছে ।

 

এবার আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন তামাবিল স্থলবন্দরের নির্বাচনকে ঘিরে।

নির্বাচন না দিয়ে তিনি নিজেকে পোর্টের সভাপতি দাবি করছেন। এবং নির্বাচন লাগবে না বলে ব্যবসায়ীদের বলেছেন।

 

একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব চাই উনি তো আওয়ামীলীগের সময় মন্ত্রী ইমরানের কাছের লোক ছিলেন। এখন নাদেলের আস্থাভাজন রাসেলকে নিয়ে আওয়ামীলীগ পূর্ণবাসন করতে চাইছেন। কারণ এ বর্ডার দিয়ে রাসেল এমপি নাদেলসহ একাদিক নেতাকর্মীকে পারাপারের ব্যবস্থা করেছে । তাই সিন্ডিকেট হয়ে এ কাজ করছেন শাহপরাণ ও রাসেল।

 

বিএনপির একাধিক কর্মী জানান, তিনি বলেন (শাহপরাণ) বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে এখন বিএনপির কোন অধিকার নেই আমাকে কিছু বলার।

 

তারা আরোও বলেন উনার মতো কতিপয় নেতার কারণে সিলেট ৪ আসনে বিএনপির প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে । ফলে বিএনপি সামনে নির্বাচনে বিপর্যয় হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

 

এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম শাহপরান বলেন, এসকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়ট। এবং রাসেলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

 

সুত্র সবুজ সিলেট

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবেশের দোহাই দেওয়া আর চলবে না আমাদের হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে’ জৈন্তাপুরে, :আরিফুল হক চৌধুরী

Follow for More!

নির্বাচন বানচাল করে তামাবিল স্থলবন্দরের অঘোষিত সম্রাট শাহপরাণ

প্রকাশিত: ১০:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
২২

সিলেটের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সংগঠন তামাবিল আমদানিকারক গ্রুপের নির্বাচন হওয়ার কথা ১৪ আগস্ট। তবে নির্বাচন বানচাল করে তামাবিল স্থলবন্দরের একক ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছেন বালি- পাথর লুটের দায়ে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ।

 

অভিযোগ উঠেছে , ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার এমপি শফিউল আলম নাদেলের আস্থাভাজন রাসেলসহ আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কতিপয় লোকদের নিয়ে ১৩ আগস্ট রাতে মিটিং করে নির্বাচন না করে আওয়ামীলীগ কায়দায় নিজেকে সভাপতি ঘোষনা করেছেন।

 

ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । এ য়ে সংঘাত সৃস্টি হতে পারে।

 

৫ আগস্টের পটপরিবর্তণের পর তিনি সীমান্তবর্তী এলাকয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃস্টি করেছেন। বালি-পাথর লুটপাট ও তামাবিল পোর্টের দখল নেন। পরে জাফলং সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় দল বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।

 

দলের শাস্তি খড়গের পর আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেন রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ। পরে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করায় পরিবেশ অধিদপ্তর বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার পরও থেমে থাকেন নি তিনি চালিয়েছেন ধ্বংসযজ্ঞ, করেছেন পরিবেশ বিনষ্ট, কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। এভাবে তার তান্ডবলীলা সীমান্ত এলাকায় চলছে ।

 

এবার আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন তামাবিল স্থলবন্দরের নির্বাচনকে ঘিরে।

নির্বাচন না দিয়ে তিনি নিজেকে পোর্টের সভাপতি দাবি করছেন। এবং নির্বাচন লাগবে না বলে ব্যবসায়ীদের বলেছেন।

 

একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব চাই উনি তো আওয়ামীলীগের সময় মন্ত্রী ইমরানের কাছের লোক ছিলেন। এখন নাদেলের আস্থাভাজন রাসেলকে নিয়ে আওয়ামীলীগ পূর্ণবাসন করতে চাইছেন। কারণ এ বর্ডার দিয়ে রাসেল এমপি নাদেলসহ একাদিক নেতাকর্মীকে পারাপারের ব্যবস্থা করেছে । তাই সিন্ডিকেট হয়ে এ কাজ করছেন শাহপরাণ ও রাসেল।

 

বিএনপির একাধিক কর্মী জানান, তিনি বলেন (শাহপরাণ) বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে এখন বিএনপির কোন অধিকার নেই আমাকে কিছু বলার।

 

তারা আরোও বলেন উনার মতো কতিপয় নেতার কারণে সিলেট ৪ আসনে বিএনপির প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে । ফলে বিএনপি সামনে নির্বাচনে বিপর্যয় হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

 

এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম শাহপরান বলেন, এসকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়ট। এবং রাসেলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

 

সুত্র সবুজ সিলেট