
ডেস্ক নিউজ :: সিলেটের সীমান্তে চোরাকারবারি দমনে অভিযান পরিচালনার সময় ইছামতি নদীতে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহী মোঃ মাসুম বিল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার(১০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকর্মীদের দীর্ঘ প্রয়াসে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট বিকেল প্রায় ৫টা ১০ মিনিটে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর সোনারহাট বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ভারতীয় সুপারি বহনকারী একটি চোরাকারবারি নৌকাকে থামানোর চেষ্টা করে বিজিবি টহলদল। এ সময় চোরাকারবারিদের নৌকাটি বিজিবি সদস্যদের নৌকায় ধাক্কা দিলে দুইজন সদস্য নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে একজন সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও সিপাহী মাসুম বিল্লাহ স্রোতের মধ্যে তলিয়ে যান এবং নিখোঁজ হন।
ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল, বাংলাদেশ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাধারণ জনগণ একযোগে তল্লাশি চালায়। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরাও এ ঘটনায় তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা করেন। টানা প্রায় ২৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর রবিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়।
বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, মাসুম বিল্লাহ কর্তব্যরত অবস্থায় যে সাহসিকতা, সততা ও দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন, তা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের গৌরবের অংশ হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন সৎ, শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং অদম্য চেতনার সৈনিক। তার আত্মত্যাগ আমাদের প্রতিটি সদস্যকে অনুপ্রাণিত করবে সীমান্ত রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে।
বিজিবি নিহত সিপাহীর পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে। একই সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব সংস্থা ও ব্যক্তিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে। মাসুম বিল্লাহকে বিজিবি সর্বদা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে একজন সত্যিকারের সীমান্ত প্রহরী হিসেবে, যিনি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।