
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গত ১৩ জুলাই কানাডা প্রবাসীর বৌভাত অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকাকালীন সময় দিনে দুপুরে বাড়ির পেছনের ফটক ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে ০২ জোড়া স্বর্ণের বালা, ০১ জোড়া কানের দুল, ০২টি স্বর্ণের চেইন, ০১টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, নগদ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ও ৫০০ ইউএস ডলার সহ মোট ৯ লক্ষ ৭ হাজার ৫শ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় সাথে জড়িত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার(০৩ আগস্ট) সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার পুলিশের সহায়তায় বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বড়লেখা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজার, খশিরবন হাতির টিলা এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে শরীফ আহমেদ (২৪)।(বর্তমান ঠিকানা মিরধারপাড়, ১নং বাংলাবাজার ইউপি, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জ)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনায় দিনই ভুক্তভোগী শামীম আহমদ কাউছার বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১২, তারিখ-১৪/০৭/২০২৫ইং, ধারা-৪৫৪/৩৮০) দন্ডবিধি মোতাবেক। মামলার পর জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কুলাউড়া সার্কেলের সার্বিক দিক নির্দেশনায় বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লার সার্বিক তত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রতন কুমার হালদার, এসআই দেবল চন্দ্র সরকার, এএসআই ফজলে আজিম ও অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে আসামী সনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। উক্ত টিম বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে আসামীকে সনাক্ত করে রোববার(০৩ আগস্ট) সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার এলাকায় দোয়ারাবাজার পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বড়লেখা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামীর দেয়া তথ্য মতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১ টি ইয়ামাহা কোম্পানীর এফজেড এক্স মডেলের মোটরসাইকেল এবং চুরি হওয়া টাকা থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা সোমবার দুপুরে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার সাথে থাকা আরো দুই জন আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা গোপন রাখা হল। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে।