ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জকিগঞ্জে ধানক্ষেতে পড়েছিল বৃদ্ধের লাশ, এলাকাবাসীর দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১১:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে
২২

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি ::

সিলেটের জকিগঞ্জে রাস্তার পাশে কৃষি জমি থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম এলাকার মাদান নগর-বড়বন্দ রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বৃদ্ধের নাম মাহমুদ আলী (৬৮)। তিনি কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়চাতল গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার দিকে আটগ্রাম এলাকার মাদাননগর-বড়বন্দ রাস্তার পাশে কৃষি জমিতে এক বৃদ্ধের লাশ দেখতে পান এলাকার লোকজন। রাস্তার এক পাশে লাশটি পড়ে থাকলেও বিপরীত পাশে তাঁর জুতা, লাইট ও খরচপাতি পাওয়া যায়। লাশের পাশে এক জোড়া সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাবস পড়ে আছে। পরে এলাকার লোকজন জকিগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে জোহরের পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রথম দিকে বৃদ্ধটির পরিচয় না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বৃদ্ধের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার ছেলেসহ পরিবারের লোকজন ছবি ফেসবুকে দেখে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

বৃদ্ধের ছেলে রেহিম আলী জানান, তার বাবা মানুষকে তাবিজ দিতেন। এ সুবাদে প্রতিদিন অনেক অপরিচিত মানুষ তাদের বাড়িতে আসতেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে একজন অপরিচিত যুবক তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবার সাথে দীর্ঘ সময় আলাপ শেষে সন্ধ্যার দিকে তার বাবাকে নিয়ে আটগ্রামের দিকে রওয়ানা হন। রাতে তাদের বাবা আর বাড়িতে ফিরেননি। পরিবারের ধারণা ছিল তিনি কোথাও তাবিজ দিতে গিয়েছেন। শনিবার সকালে সংবাদ পান তাদের বাবার লাশ আটগ্রাম মাদাননগরে রাস্তার পাশে পড়ে আছে।

কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়চাতল এলাকার সাবেক মেম্বার মাহতাব উদ্দিন জানান, নিহত বৃদ্ধ অনেক ভালো লোক ছিলেন। তিনি এক সময় খুবই দারিদ্র্য থাকলেও এখন তাঁর ৩টি ছেলে প্রবাসে রয়েছে। তাঁর এমন নির্মম মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ রহস্যজনক। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ঘটনাস্থল আমিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি আপনাদের লোক,আপনাদের কাছে ধানের শীষে ভোট চাই: কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন 

Follow for More!

জকিগঞ্জে ধানক্ষেতে পড়েছিল বৃদ্ধের লাশ, এলাকাবাসীর দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’

প্রকাশিত: ১১:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
২২

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি ::

সিলেটের জকিগঞ্জে রাস্তার পাশে কৃষি জমি থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম এলাকার মাদান নগর-বড়বন্দ রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বৃদ্ধের নাম মাহমুদ আলী (৬৮)। তিনি কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়চাতল গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার দিকে আটগ্রাম এলাকার মাদাননগর-বড়বন্দ রাস্তার পাশে কৃষি জমিতে এক বৃদ্ধের লাশ দেখতে পান এলাকার লোকজন। রাস্তার এক পাশে লাশটি পড়ে থাকলেও বিপরীত পাশে তাঁর জুতা, লাইট ও খরচপাতি পাওয়া যায়। লাশের পাশে এক জোড়া সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাবস পড়ে আছে। পরে এলাকার লোকজন জকিগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে জোহরের পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রথম দিকে বৃদ্ধটির পরিচয় না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বৃদ্ধের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার ছেলেসহ পরিবারের লোকজন ছবি ফেসবুকে দেখে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

বৃদ্ধের ছেলে রেহিম আলী জানান, তার বাবা মানুষকে তাবিজ দিতেন। এ সুবাদে প্রতিদিন অনেক অপরিচিত মানুষ তাদের বাড়িতে আসতেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে একজন অপরিচিত যুবক তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবার সাথে দীর্ঘ সময় আলাপ শেষে সন্ধ্যার দিকে তার বাবাকে নিয়ে আটগ্রামের দিকে রওয়ানা হন। রাতে তাদের বাবা আর বাড়িতে ফিরেননি। পরিবারের ধারণা ছিল তিনি কোথাও তাবিজ দিতে গিয়েছেন। শনিবার সকালে সংবাদ পান তাদের বাবার লাশ আটগ্রাম মাদাননগরে রাস্তার পাশে পড়ে আছে।

কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়চাতল এলাকার সাবেক মেম্বার মাহতাব উদ্দিন জানান, নিহত বৃদ্ধ অনেক ভালো লোক ছিলেন। তিনি এক সময় খুবই দারিদ্র্য থাকলেও এখন তাঁর ৩টি ছেলে প্রবাসে রয়েছে। তাঁর এমন নির্মম মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ রহস্যজনক। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ঘটনাস্থল আমিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।