
জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বীকৃতি স্বরূপ “পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস স্কিম (এসইডিপি) আওতায় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৩২ জন সেরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিস আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা’র সভাপতিত্বে , ও একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকনের পরিচালনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-সেসিপি) কাওছার আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অভিজিৎ কুমার পাল।
একাডেমিক পর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হরিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজির আলী সরকার এবং তৈয়ব আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রোহিনী রঞ্জন, উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আহবাব হোসেন (খরিল নিজামুল উলুম মাদ্রাসা, চাকতা), এবং গীতা পাঠ করেন মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা স্কুলের শিক্ষিকা অঞ্চনা দেবী।
শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মামুনুর রশীদ বেলাল ও জালাল উদ্দিন। বক্তারা শিক্ষার্থীদের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই পুরস্কার শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতা, অধ্যবসায় এবং উচ্চতর সাফল্যের প্রেরণা জোগাবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার মোট ৩২ জন শিক্ষার্থীকে শ্রেষ্ঠ পারফরমেন্স হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- আবুল হাসান, আরিফ বীন নুরুল, আহবাব, শিফা, মাহদিয়া, ফারহানা, হাজিরা, শাহরিয়ার, শরিফ, জান্নাতুল, সুমি, মাহফুজ, তাহমিদুর, সাদিয়া, শারমিন, লিমা জাকিয়া, মুবাশ্বিরা, মাহমুদুল, সেলিনা, সুমা, শাহাদাত, প্রান্ত দে, বিজয়, জুলফা, ফারজানা, সালমান, এহসান, মাশরুফা, জয়া রাণী, তাহের, আসমা ও হালিম।
এই স্কিমের আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রধান অতিথি কাওছার আহমেদ বলেন, “এই ধরণের কর্মসূচি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনায় উৎসাহিত করে শিক্ষার মান উন্নত হবে।
স্থানীয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি প্রদান শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।