ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ-১: নির্বাচনী প্রচারণায় সরব বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০২:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ৮ পড়া হয়েছে
১৭

মো. শাহীন আলম, স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ::

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জ-১ আসনেও রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচি, সামাজিক অনুষ্ঠান, এবং ফেসবুকসহ ডিজিটাল মাধ্যমে তৎপরতা বাড়িয়েছেন তারা। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক ব্যানার-ফেস্টুন ও কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে করে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রচারণা আরও জোরদার হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার হাওর বেষ্টিত ও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন, কেউ বাজারে-মাঠে গণসংযোগ চালাচ্ছেন, আবার কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন।

সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আসন সুনামগঞ্জ-১। চারটি উপজেলা নিয়ে বিসৃতৃত এই আসন। আয়তন ও ভোটের দিক থেকেও বিশাল। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন, পুরুষ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫ জন।

বৃহৎ এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেতে বিএনপির সাতজনেরও বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে আছেন। যদিও দলীয়ভাবে প্রার্থী এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, তাহিরপুরের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা কামরুজ্জামান কামরুল। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, তাহিরপুরের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ধর্মপাশার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান। এই আসনের তিনবারের সাবেক এমপি নজির হোসেনের স্ত্রী ও কৃষি ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত অফিসার সালমা নজির।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাটি ও মানুষের নেতা মাহবুবুর রহমান। যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা, জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন। জামালগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা সোহেল আহমেদ।

এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর দলীয় মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান তার নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি নেতা আনিসুল হক বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে জেলা সদরে ও সুনামগঞ্জ- ১ নির্বাচনী এলাকার চার উপজেলায় সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করেছি। তিনি বিশ্বাস করেন, তার কাজের মূল্যায়ন হিসেবে দল তাকে ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন দিবেন।

বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান কামরুল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। বিগত দিনে দলের জন্য যে ত্যাগ ও অবদান রেখেছি, আশা করি দল তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করবে।”

কামরুলের রাজনৈতিক প্রভাব নির্বাচনী আসনের প্রতিটি উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দৃশ্যমান। তাঁর রয়েছে বিপুল সংখ্যক সক্রিয় অনুসারী ও সমর্থক। ফলে তাঁর নেতৃত্বে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।

সম্প্রতি ধর্মপাশা উপজেলায় আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় কামরুলের নেতৃত্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। উক্ত সমাবেশে নজিরবিহীন জনসমাগম রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজ উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় সক্রিয় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল মোতালিব খান। তবে একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আরও একজন, যিনি হলেন মোতালিব খানের আপন ভাগ্নে ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় সম্প্রতি ধর্মপাশায় ও মধ্যনগরে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। তিনি বলেন, গত “১৫ বছর আওয়ামী দমন-পীড়ন মোকাবিলা করে মাঠে ছিলাম। এবার তরুণদের মূল্যায়ন করা হবে।” এ আশায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সাবেক এমপি নজির হোসেনের পত্নী সালমা নজিরও নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন। স্বামীর পরিচয়কে মাঠে ও কেন্দ্রে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন তিনি। সালমা নজির বলেন, “দল ক্লিন ইমেজ ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে গুরুত্ব দেবে-এই বিশ্বাসেই আমি মাঠে নেমেছি।”

ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা। সম্প্রতি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করছেন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সোহেল আহমেদ বলেন, আমি মনে করি আমার দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণদের মূল্যায়ন করবে। সে হিসেবে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইবো।

এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান। তাহিরপুর উপজেলার বড়দল গ্রামের বাসিন্দা তোফায়েল খান জানান, “ভোটকেন্দ্র ও গ্রাম কমিটির কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।” তিনি মসজিদ-মাদ্রাসা ও গ্রামাঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে গণসংযোগ করে দলের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’র পক্ষে ভোট চাইছেন।

“সূত্র মতে, বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব দলীয় পরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়নে মনোযোগ দিচ্ছে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

Follow for More!

সুনামগঞ্জ-১: নির্বাচনী প্রচারণায় সরব বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী

প্রকাশিত: ০২:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
১৭

মো. শাহীন আলম, স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ::

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জ-১ আসনেও রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচি, সামাজিক অনুষ্ঠান, এবং ফেসবুকসহ ডিজিটাল মাধ্যমে তৎপরতা বাড়িয়েছেন তারা। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক ব্যানার-ফেস্টুন ও কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে করে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রচারণা আরও জোরদার হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার হাওর বেষ্টিত ও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন, কেউ বাজারে-মাঠে গণসংযোগ চালাচ্ছেন, আবার কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন।

সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আসন সুনামগঞ্জ-১। চারটি উপজেলা নিয়ে বিসৃতৃত এই আসন। আয়তন ও ভোটের দিক থেকেও বিশাল। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন, পুরুষ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫ জন।

বৃহৎ এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেতে বিএনপির সাতজনেরও বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে আছেন। যদিও দলীয়ভাবে প্রার্থী এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, তাহিরপুরের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা কামরুজ্জামান কামরুল। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, তাহিরপুরের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ধর্মপাশার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান। এই আসনের তিনবারের সাবেক এমপি নজির হোসেনের স্ত্রী ও কৃষি ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত অফিসার সালমা নজির।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাটি ও মানুষের নেতা মাহবুবুর রহমান। যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা, জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন। জামালগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা সোহেল আহমেদ।

এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর দলীয় মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান তার নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি নেতা আনিসুল হক বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে জেলা সদরে ও সুনামগঞ্জ- ১ নির্বাচনী এলাকার চার উপজেলায় সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করেছি। তিনি বিশ্বাস করেন, তার কাজের মূল্যায়ন হিসেবে দল তাকে ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন দিবেন।

বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান কামরুল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। বিগত দিনে দলের জন্য যে ত্যাগ ও অবদান রেখেছি, আশা করি দল তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করবে।”

কামরুলের রাজনৈতিক প্রভাব নির্বাচনী আসনের প্রতিটি উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দৃশ্যমান। তাঁর রয়েছে বিপুল সংখ্যক সক্রিয় অনুসারী ও সমর্থক। ফলে তাঁর নেতৃত্বে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।

সম্প্রতি ধর্মপাশা উপজেলায় আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় কামরুলের নেতৃত্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। উক্ত সমাবেশে নজিরবিহীন জনসমাগম রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজ উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় সক্রিয় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল মোতালিব খান। তবে একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আরও একজন, যিনি হলেন মোতালিব খানের আপন ভাগ্নে ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় সম্প্রতি ধর্মপাশায় ও মধ্যনগরে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। তিনি বলেন, গত “১৫ বছর আওয়ামী দমন-পীড়ন মোকাবিলা করে মাঠে ছিলাম। এবার তরুণদের মূল্যায়ন করা হবে।” এ আশায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সাবেক এমপি নজির হোসেনের পত্নী সালমা নজিরও নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন। স্বামীর পরিচয়কে মাঠে ও কেন্দ্রে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন তিনি। সালমা নজির বলেন, “দল ক্লিন ইমেজ ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে গুরুত্ব দেবে-এই বিশ্বাসেই আমি মাঠে নেমেছি।”

ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা। সম্প্রতি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করছেন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সোহেল আহমেদ বলেন, আমি মনে করি আমার দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণদের মূল্যায়ন করবে। সে হিসেবে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইবো।

এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান। তাহিরপুর উপজেলার বড়দল গ্রামের বাসিন্দা তোফায়েল খান জানান, “ভোটকেন্দ্র ও গ্রাম কমিটির কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।” তিনি মসজিদ-মাদ্রাসা ও গ্রামাঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে গণসংযোগ করে দলের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’র পক্ষে ভোট চাইছেন।

“সূত্র মতে, বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব দলীয় পরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়নে মনোযোগ দিচ্ছে।