ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়াইনঘাটে নৌপথে চাঁদাবাজি, দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:২৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে
২২

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :

সিলেটের গোয়াইনঘাটে নৌ-পথে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের সাথে থাকা দেশিয় অস্ত্র ও নদীপথে বালু বোঝাই বাল্কহেড গতিরোধে ব্যবহৃত দুটি ইঞ্জিন নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে উপজেলার ৪নং লেংগুড়া ইউনিয়নের লেংগুড়া গ্রামের গোয়াইন নদী পথে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন মাটিকাপা গ্রামের জালাল উদ্দিন, পুত্রইকবাল হোসেন ইমন (২১),লেংগুড়া গ্রামের জিহাদ উল্ল্যা পুত্র কুদরত উল্ল্যা (৪৩), মাহমুদ আলী পুত্র তোফায়েল আহমেদ (২৬), জমির উদ্দিনের পুত্র বদর উদ্দিন (৪৫), মৃত আব্দুস ছালামের পুত্র রহিম উদ্দিন ( ৪৫) এবং তাহির আলী পুত্র সুলেমান (৩০)।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, সরকারের ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালুবাহী বাল্কহেড যাওয়ার পথে লেংগুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে আজমল হোসেনের (২৬) নেতৃত্বে সক্রিয় একটি চাঁদাবাজ চক্র অবৈধ ভাবে বাল্কহেডগুলো আটক করে রাখে।

 

এ বিষয়ে ইজারাদারের সাথে দফায় দফায় সমন্বয়ক পরিচয়দানকারি আজমল গংদের সাথে একাধিক বার বিষয়টি নিরসনের জন্য বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি।

 

এদিকে বালু বোঝাই প্রায় দুই শতাদিক বাল্কহেড দীর্ঘ ১৫ দিন থেকে লেংগুড়া গ্রামের আজমল বাহিনীর হাতে জিম্মি থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রশাসনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আনুমানিক এক হাজার নৌকা শ্রমিককে জোরপূর্বক জিম্মি রাখায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত অভিযানে আজমল গংদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দল। অভিযানকানে আজমল হোসেন পালিয়ে গেলেও তার কিছুসংখ্যক লোক সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাদের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় অভিযানকারীদল।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় দেশীয় অস্ত্র এবং অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের দ্বায়ে মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী বলেন, অবৈধভাবে নৌপথে চালিত বালুবাহী বাল্কহেড আটকের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে বালু বোঝাই নৌকাগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, নৌপথে বালু বোঝাই বাল্কহেড আটকে রাখার দ্বায়ে এবং এঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃতদের কাজে ব্যবহৃত ২টি কাঠের নৌকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া নৌ-পথে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত অপরাপরদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে চিকিৎসকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য—–অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম

Follow for More!

গোয়াইনঘাটে নৌপথে চাঁদাবাজি, দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশিত: ০৫:২৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
২২

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :

সিলেটের গোয়াইনঘাটে নৌ-পথে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের সাথে থাকা দেশিয় অস্ত্র ও নদীপথে বালু বোঝাই বাল্কহেড গতিরোধে ব্যবহৃত দুটি ইঞ্জিন নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে উপজেলার ৪নং লেংগুড়া ইউনিয়নের লেংগুড়া গ্রামের গোয়াইন নদী পথে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন মাটিকাপা গ্রামের জালাল উদ্দিন, পুত্রইকবাল হোসেন ইমন (২১),লেংগুড়া গ্রামের জিহাদ উল্ল্যা পুত্র কুদরত উল্ল্যা (৪৩), মাহমুদ আলী পুত্র তোফায়েল আহমেদ (২৬), জমির উদ্দিনের পুত্র বদর উদ্দিন (৪৫), মৃত আব্দুস ছালামের পুত্র রহিম উদ্দিন ( ৪৫) এবং তাহির আলী পুত্র সুলেমান (৩০)।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, সরকারের ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালুবাহী বাল্কহেড যাওয়ার পথে লেংগুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে আজমল হোসেনের (২৬) নেতৃত্বে সক্রিয় একটি চাঁদাবাজ চক্র অবৈধ ভাবে বাল্কহেডগুলো আটক করে রাখে।

 

এ বিষয়ে ইজারাদারের সাথে দফায় দফায় সমন্বয়ক পরিচয়দানকারি আজমল গংদের সাথে একাধিক বার বিষয়টি নিরসনের জন্য বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি।

 

এদিকে বালু বোঝাই প্রায় দুই শতাদিক বাল্কহেড দীর্ঘ ১৫ দিন থেকে লেংগুড়া গ্রামের আজমল বাহিনীর হাতে জিম্মি থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রশাসনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আনুমানিক এক হাজার নৌকা শ্রমিককে জোরপূর্বক জিম্মি রাখায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত অভিযানে আজমল গংদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দল। অভিযানকানে আজমল হোসেন পালিয়ে গেলেও তার কিছুসংখ্যক লোক সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাদের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় অভিযানকারীদল।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় দেশীয় অস্ত্র এবং অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের দ্বায়ে মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী বলেন, অবৈধভাবে নৌপথে চালিত বালুবাহী বাল্কহেড আটকের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে বালু বোঝাই নৌকাগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, নৌপথে বালু বোঝাই বাল্কহেড আটকে রাখার দ্বায়ে এবং এঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃতদের কাজে ব্যবহৃত ২টি কাঠের নৌকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া নৌ-পথে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত অপরাপরদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।