
ধর্মপাশা প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আইনুল হক (৩৫) নামের এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ধর্মপাশা চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াজুল কাউসার এই আদেশ দেন।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আইনুল হক সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ইলামপুর দুভাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন পুলিশ সদস্য। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আইনুল হক নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার জানায়, চলতি বছরের ২৫ জুন আইনুল হক তাকে সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরদিন ছাত্রীটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে আইনুল নানা টালবাহানা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে ৩০ জুন সোমবার রাতে ধর্মপাশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আইনুল হক প্রথম বিবাহিত, কিন্তু সেটি গোপন করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী তার দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায় আইনুল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, “অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আইনুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নারী অধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।